রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে দুষ্কৃতীদের এনকাউন্টার করা হবে। রবিবার নদিয়ায় বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর খবরে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এর আগেও সুকান্তর মুখে শোনা গিয়েছিল এনকাউন্টারের দাবি। গত ফেব্রুয়ারিতে পুলিশ যখন শেখ শাহজাহানকে খুঁজে বেড়াচ্ছে তখন তিনি বলেন, শাহজাহান, শিবু হাজরাদের এনকাউন্টার করা উচিত।
আরও পড়ুন - ছাপ্পার অভিযোগ প্রতিকুরের, ডায়মন্ড হারবার নিয়ে শুভেন্দুর দাবি আরও ভয়ানক
পড়তে থাকুন - মুসলিমরা তাদের বিরুদ্ধে ভোট দিলেই TMCর ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র মৃত্যু হয়: অমিত মালব্য
এদিন সুকান্তবাবু বলেন, ‘কলকাতা, নদিয়া, বসিরহাটে ভোট পরবর্তী হিংসা চলছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে উত্তরপ্রদেশ ট্রিটমেন্ট হবে। পুরো এনকাউন্টার হবে। দুষ্কৃতীরা যেন সাবধানে থাকে। তাদের দিন ঘনিয়ে এসেছে।’
বলে রাখি ২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার পর উত্তর প্রদেশে একের পর এক দুষ্কৃতীকে এনকাউন্টার করে খতম করেছিল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। রাজ্যের আইন – শৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে একের পর এক দুষ্কৃতীকে সরাসরি খতম করেছিল উত্তর প্রদেশ পুলিশ। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছিল সপা - কংগ্রেসসহ সেরাজ্যের বিরোধী দলগুলি।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিজেপির বসিরহাট অভিযানের আগে সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, ‘শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তম সরদার যেই হোক, যারা এই কাজ করেছে আইনের উচিত এনকাউন্টার করে তাদের শাস্তি দেওয়া।’ এবার ফের একবার এনকাউন্টারের হুঁশিয়ারি সুকান্তবাবুর মুখে।
আরও পড়ুন - ৩০ দূর অস্ত, বাংলায় কত আসন পেতে পারে বিজেপি, ভোট শেষ হতেই ফাঁস করলেন খোদ সুকান্ত
রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে জনরোষের মুখ হয়ে উঠতে এই ধরণের চরমপন্থী বক্তব্য রাখছেন সুকান্তবাবু। মানুষ যেন বিজেপিকেই পুলিশি অত্যাচার থেকে বাঁচার একমাত্র আশা হিসাবে দেখে সেই জন্যই এই ধরণের বক্তব্য রাখছেন তিনি। বামেদের প্রশ্ন, তাহলে কি বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা নেই সুকান্তবাবুর? আইনের প্রতি আস্থা হারিয়েই এনকাউন্টারের হুঁশিয়ারি বার বার শোনা যাচ্ছে তাঁর মুখে?