
Baji
৳7,777 IPL 2025 Sports Bonus
রাজ্যের বাজি বিক্রেতাদের জন্য সুখবর। দীর্ঘদিনের দাবি মেনে পুজোর ঠিক মুখে রাজ্যে শব্দবাজিতে ১২৫ ডেসিবেল পর্যন্ত ছাড় ঘোষণা করল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। এর ফলে কালীপটকাসহ একাধিক শব্দবাজি রাজ্যে বৈধ হল। এতদিন রাজ্যের দূষণবিধি মেনে ৯০ ডেসিবেল শব্দমাত্রা পর্যন্ত শব্দবাজি ফাটানো যেত। দীর্ঘদিন ধরে শব্দমাত্রা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছিলেন রাজ্যের বাজি ব্যবসায়ীরা।
রাজ্যে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র জানিয়েছেন, রাজ্যে বাজির শব্দমাত্রা ৯০ ডেসিবেল থেকে বাড়িয়ে ১২৫ ডেসিবেল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে সারা দেশে বাজির শব্দমাত্রা ১২৫ ডেসিবেল। আমরা সেই নির্দেশকেই কার্যকর করেছি। তবে সাইলেন্স জোন ও তার ১০০ মিটারের মধ্যে কোনও শব্দবাজি ফাটানো যাবে না।
বাম জমানায় বাজির শব্দমাত্রা ৯০ ডেসিবেল করার সিদ্ধান্ত হয়। এর ফলে নিষিদ্ধ হয়ে যায় কালীপটকাও। দীর্ঘদিন ধরে শব্দমাত্রা ১২৫ ডেসিবেল করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন বাজি ব্যবসায়ীরা। তাঁদেরে দাবি, গোটা দেশে বাজির শব্দমাত্রা ১২৫ ডেসিবেল হলেও পশ্চিমবঙ্গে তা ছিল ৯০ ডেসিবেল। তাই ভিনরাজ্য থেকে বাজি আমদানি করতে সমস্যা হয়। আলোর বাজি ছাড়া কোনও বাজিই বিক্রি করা যায় না পশ্চিমবঙ্গে। আলোর বাজিতে শব্দদূষণ কম হলেও বায়ুদূষণ হয় মারাত্মক। ফলে দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য সেই অধরাই থেকে যায়।
বাজি ব্যবসায়ীরা যদিও জানিয়েছেন, একপ্রকার বাধ্য হয়ে বাজির শব্দমাত্রা বাড়িয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। পুজোর মুখে এগরা ও নীলগঞ্জ বিস্ফোরণের পর রাজ্যজুড়ে বেআইনি বাজি কারখানা থেকে প্রায় সমস্ত বাজি বাজেয়াপ্ত করে এনেছে পুলিশ। হাতে গোনা বৈধ বাজি কারখানা থেকে রাজ্যের বিপুল চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। ভিনরাজ্য থেকে বাজি আমদানি করতে গেলে শব্দমাত্রা বৃদ্ধির ছাড়পত্র দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। নইলে জনমানসে ক্ষোভ তৈরি হতে পারত। যা কখনওই চায় না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
৳7,777 IPL 2025 Sports Bonus