রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও প্রতিশ্রুতি রাখেনি। প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। এমনই অভিযোগে কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও সল্টলেক করুনাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন কয়েক হাজার প্রার্থী। তবে প্রার্থীদের সেই অভিযোগকে কার্যত উড়িয়ে দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। 'যারা চাকরি পাওয়ার যোগ্য তারা চাকরি পেয়ে গেছেন' বলেই তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ১৬৫০ শূন্য পদে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ করা হয়ে গিয়েছে। এখনও ৭৩৮ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। যারা যোগ্য প্রার্থী তারা সকলেই চাকরি পেয়ে গিয়েছেন।' বৃহস্পতিবার প্রার্থীদের বিক্ষোভে সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা অনেকের মুখেই দেখা যায়নি মাস্ক। বিধান নগর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়।চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছিলেন ধাপে ধাপে বাকিদের চাকরি দেওয়া হবে । কিন্তু তা করা হয়নি এখনো প্রায় ৮ হাজার প্রার্থী চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাদের দাবি, যারা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থী এবং নন ইনক্লুড তালিকায় রয়েছেন তাদের দ্রুত নিয়োগ করতে হবে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের নভেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন প্রথমে ১৬,৫০০ জনকে নিয়োগ করা হবে। পরে ধাপে ধাপে বাকিদের নিয়োগ করা হবে। তবে ১২ হারাজার প্রার্থীকে নিয়োগ করা হলেও বাকিদের মেধা তালিকায় রাখা হয়নি বলে অভিযোগ প্রার্থীদের।নিয়োগের দাবিতে প্রার্থীরা ডি আই অফিস, জেলাশাসক এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে ডেপুটেশন দেন।