আর নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ আসার আগেই লোকসভা নির্বাচনের কাজ সেরে রাখতে চায় সিইও অফিস। অতীতের নানা ঘটনাকে সামনে রেখে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নতুন স্ট্র্যাটেজি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থেকে শুরু করে স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করা এবং পুলিশ পর্যবেক্ষক বাড়ানো হবে বলে খবর।
ভারতের নির্বাচন কমিশন
সামনে লোকসভা নির্বাচন। যদিও নির্বাচন কমিশন এখনও নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেনি। তবে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে জোরকদমে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বাংলার উপর বিশেষ নজরদারি শুরু করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আগেভাগে কেন এমন উদ্যোগ? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, এখন থেকে বাংলার প্রত্যেকটি জেলায় কোথায় কী ঘটছে, খবর নিচ্ছে তারা। আর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন আছে তার সাপ্তাহিক রিপোর্টও পাঠাতে হচ্ছে জেলাগুলিকে। নির্বাচন কমিশনের কর্তারা সেগুলি খতিয়ে দেখছেন। তাছাড়া নানা সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেল এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় কী খবর প্রকাশ পাচ্ছে তার পেপার কার্টিং এবং ভিডিয়ো ফুটেজ সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের রণনীতি কি এভাবে তৈরি করবে কমিশন?
এদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরেই এসব কাজ শুরু হয়। কিন্তু এবার অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগেভাগেই লোকসভা নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। যার মূল কারণ, বাংলায় অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করা। কিন্তু গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন তো কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হয়েছিল। তাহলে এমন আগাম প্রস্তুতি কেন? উঠছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর, গত নির্বাচনে ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু খামতি ছিল নির্বাচন কমিশনের। লোকসভা নির্বাচনে এবার যাতে তার পুনরাবৃত্তি না হয় সেটা সুনিশ্চিত করতেই আগেভাগে তৎপরতা দেখাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
অন্যদিকে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ বাংলায় পা রাখবে বলে সূত্রের খবর। লোকসভা নির্বাচন সংগঠিত করার জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজি, ডিএম, এসপি–সহ রাজ্য প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তাঁরা। এখানের সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করবেন নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা। আর নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ আসার আগেই লোকসভা নির্বাচনের কাজ সেরে রাখতে চায় সিইও অফিস। অতীতের নানা ঘটনাকে সামনে রেখে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নতুন স্ট্র্যাটেজি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থেকে শুরু করে স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করা এবং পুলিশ পর্যবেক্ষক বাড়ানো হবে বলে খবর।
এছাড়া শহর এবং জেলার সব বুথেই ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। রাজ্য পুলিশ যাতে বুথের কাছে ঘেঁষতে না পারে সেই নির্দেশ দেওয়া হবে। লোকসভা নির্বাচনে নিরপেক্ষকতার স্বার্থে রাজ্য প্রশাসনে এবার প্রচুর বদলি করা হবে। সিইও অফিসের একাধিক কর্তাকেও সরানোর পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন বলে সূত্রের খবর। এবারের স্ট্র্যাটেজিতে রাজ্য প্রশাসনকে একেবারে সাইড করে দিয়ে নির্বাচন করতে চাইছে কমিশন। প্রত্যেকটি বিষয়ে কড়া নজর রাখবেন বিশেষ পর্যবেক্ষকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবরের রমরমা বন্ধ করতেও কড়া পদক্ষেপ করা হবে। এই মর্মে এখনই সব জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।