এবার কলকাতায় জলের সমস্যা দেখা দিল। আর তা হল পানীয় জল। যা নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। গার্ডেনরিচ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মিষ্টি জল সর্বত্র যাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, মাত্র দশ শতাংশ বাড়িতে সেই পানীয় জল পৌঁছেছে। আর তার জেরে নাকতলা–রামগড়ের বাসিন্দাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এই দশ শতাংশ মিষ্টি পানীয় জল মাটির নীচ থেকে পাম্পের সাহায্যে তোলা হয়। তারপর ওই জলের সঙ্গে বাড়তি জল মিশিয়ে সরবরাহ করা হয়। কলকাতা পুরসভার ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের নাকতলা, সেকেন্ড স্কিম, বৈষ্ণবঘাটা, লক্ষ্মীনারায়ণ কলোনি, রামগড়–সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় সেই জল সরবরাহ করা হয়।
কিন্তু পানীয় জলের পরিষেবা মাঝেমধ্যেই বিগড়ে যায়। তখন জল নিয়ে নানা সমস্যা হয়। মঙ্গলবারও কলকাতা পুরসভার সরবরাহ করা পানীয় জল নিয়ে সমস্যায় পড়েন রামগড়ের বহু বাসিন্দা। এই ভোগান্তির খবর পৌঁছতেই জল সরবরাহ বিভাগ থেকে জলের দু’টি গাড়ি পাঠিয়ে সমস্যার সমাধান করা হয়। তবে এটা তো চিরস্থায়ী সমাধান নয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাসের মধ্যে কমপক্ষে কুড়ি দিন এমন সমস্যা সহ্য করতে হয়। তবে কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগ সূত্রে খবর, ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের নানা এলাকায় ছোট–বড় মিলিয়ে মাটির নীচ থেকে জল তোলার পাম্প আছে মোট ২৭টি। এই পাম্পগুলির উপরই আজও এই ওয়ার্ডের পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা নির্ভর করে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ছবি সামনে রেখে অনুষ্ঠান, ঘেরাও মহেশতলা কলেজের অধ্যক্ষা, দাবি পদত্যাগের
এখানের কোনও না কোনও পাড়ায় পাম্প খারাপ হয়। আর সেই পাড়ার বাসিন্দাদের সে দিন জল নিয়ে দুর্ভোগ সহ্য করতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দা কুণাল দাশগুপ্ত, সন্দীপ চক্রবর্তীদের কথায়, ‘পানীয় জল নিয়ে আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। মাসের মধ্যে অন্তত পাঁচবার আমাদের এই দুর্ভোগ সহ্য করতে হয়।’ এই বিষয়ে ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে চারটি পাম্পিং স্টেশন নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দ্রুত তা বাস্তবায়িত হবে। আর গাঙ্গুলিবাগানের চিলড্রেন পার্কে একটি বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের কাজ চলছে। নাকতলা স্কুলের কাছেও একটি পাম্পিং স্টেশনের কাজ শুরু হবে।’