বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > ডিভিশন বেঞ্চেও মিলল না স্বস্তি, আরও বিপাকে রবীন্দ্রভারতীর রেজিস্ট্রার
পরবর্তী খবর
ডিভিশন বেঞ্চেও মিলল না স্বস্তি, আরও বিপাকে রবীন্দ্রভারতীর রেজিস্ট্রার
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 16 Jan 2024, 02:48 PM ISTChiranjib Paul
রবীন্দ্রভারতীর রেজিস্ট্রার সুবীর মৈত্রের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ছিল। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে রেজিস্ট্রার সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে উপস্থিত হননি। তখনই তাঁকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ।
ডিভিশন বেঞ্চেও মিলল না স্বস্তি, বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রারের বরখাস্তের নির্দেশ বহাল(ফাইল ছবি)
ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েও কোনও স্বস্তি মিলল না রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের। তাঁকে বরখাস্তের নির্দেশে কোনও স্থগতিদেশ দিল না ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্ট তাঁকে বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়ার পর তিনি ডিভিশন বেঞ্চে দ্বারস্থ হন। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে। একক বেঞ্চের নির্দেশের উপর হস্তক্ষেপ করল না প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
রবীন্দ্রভারতীর রেজিস্ট্রার সুবীর মৈত্রের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ছিল। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে রেজিস্ট্রার সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে উপস্থিত হননি। তখনই তাঁকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়।
অবসরকালীন বয়সের বিষয়ে মামলায় সোমবার রেজিস্ট্রারকে হাজিরার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ। রেজিস্ট্রার হাজির হতে পারেননি। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি চন্দ জানিয়ে দেন, সুবীর মৈত্রকে রেজিস্ট্রারের পদ থেকে অবিলম্বে বরখাস্ত করতে হবে। আর আদালতে মামলা করার জন্য কত টাকা খরচ হয়েছে সেটা অডিট করে দেখতে হবে। অবসরকালীন বয়সের সমসসীমা নির্ধারণের দাবিতে মোট চারটি মামলা করা হয়েছিল। মামলাকারীদের দাবি, তাঁদের অধ্যাপক হিসাবে গণ্য করে বয়সের সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে।
মামলায় হাইকোর্ট শিক্ষা দফতরের বিশেষ সচিব এবং রবীন্দ্রভারতীর রেজিস্ট্রারকে কোর্টে তলব করে। রেজিস্ট্রার জানিয়েছিলেন, তিনি সেই নির্দেশ মানতে পারবেন না। বিচারপতি চন্দের পর্যবেক্ষণ ছিল, রেজিস্ট্রার অহংকারী। বিচারপতি তাঁকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন। বিচারপতির নির্দেশ অনুযায়ী, রেজিস্ট্রাকে গত সোমবার বারখাস্তের নির্দেশিকা জারি করেন রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য।
এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন ছিল, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যকলাপ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমেই হয়। রাজ্য বা বিশ্ববিদ্যালয় ডিভিশন বেঞ্চে কেন আবেদন করলেন না! আপনি করলেন কেন?' রেজিস্ট্রারের আইনজীবী বলেন,'তিনি অসুস্থ তা সত্বেও সিঙ্গল বেঞ্চ তাঁকে বরখাস্ত করল।'