অক্টোবরের প্রথম ৩ সপ্তাহের তুলনায় চতুর্থ সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের একজন আধিকারিক জানান, মূলত বৃষ্টি হলেই জমা জলেই বংশবিস্তার করে ডেঙ্গির লার্ভা। তবে এখন বৃষ্টি না হলে ডেঙ্গির লার্ভা বংশবিস্তারের সুযোগ কম থাকবে।
কলকাতায় কমল ডেঙ্গি। প্রতীকী ছবি
গত এক মাস ধরেই কলকাতায় লাগাতার বেড়েই চলেছিল ডেঙ্গি। প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১,৩০০ জন নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছিলেন কলকাতায়। তবে কলকাতা পুরসভা এলাকায় এবার কমতে শুরু করল ডেঙ্গি। সেটাই বলছে পরিসংখ্যান অক্টোবরের চতুর্থ সপ্তাহে কলকাতার ১৪৪ টি ১০০০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে আক্রান্তের সংখ্যাটা কমেছে বলেই জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আধিকারিকদের আশা, আগামী কয়েক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা শহরে আরও কমে যাবে।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, অক্টোবরের প্রথম ৩ সপ্তাহের তুলনায় চতুর্থ সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের একজন আধিকারিক জানান, মূলত বৃষ্টি হলেই জমা জলেই বংশবিস্তার করে ডেঙ্গির লার্ভা। তবে এখন বৃষ্টি না হলে ডেঙ্গির লার্ভা বংশবিস্তারের সুযোগ কম থাকবে। তার ফলে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। যদিও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে এখনই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছে না পুরসভা। কারণ এখনও বহু ওয়ার্ড রয়েছে যেখানে প্রতিদিনই নতুন করে অনেকে ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই আধিকারিকদের মতে, বিপদ এখনও কাটেনি। তাই পুরসভাকে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে নজরদারি চালিয়ে যেতে হবে। যে সমস্ত এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি সেখানে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের একজন আধিকারিক জানান, বেহালা, টালিগঞ্জ, গড়িয়া, যাদবপুর, সন্তোষপুর, গড়ফা, কসবা এবং ইএম বাইপাসের বেশ কয়েকটি এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। কিছু এলাকায় এখনও নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছে। তাতে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। যদিও কলকাতার অন্যান্য এলাকাগুলিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। তাই এই সমস্ত এলাকায় বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে।