আবার রাজ্য সরকার–রাজ্যপাল সংঘাত বাঁধতে চলেছে। কয়েকদিন আগে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক সংক্রান্ত রিপোর্ট চেয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তা নিয়ে বিতর্ক চরমে উঠেছিল। সরাসরি এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ বলে মন্তব্য করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এবার রাজ্যজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সিনিয়র অধ্যাপকদের নিয়ে ডেটাব্যাঙ্ক তৈরি করতে চাইছেন রাজ্যপাল বলে সূত্রের খবর। তাই রাজ্যের প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঁচজন করে সিনিয়র অধ্যাপকদের নাম চেয়ে পাঠালেন রাজ্যপাল। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে সমস্ত উপাচার্যদের কাছে রাজভবন থেকে ই–মেইল করে নাম জানতে চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেখানে সিনিয়র অধ্যাপকদের নাম জানান বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রাজভবনে থেকে ই–মেল আসতেই উচ্চশিক্ষা দফতরের মতামত চেয়েছেন একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। তখনই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। বিষয়টি কানে গিয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর। যদিও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘আমরা এই বিষয় সম্পর্কে অবগত নই।’ সুতরাং উপাচার্যরা সিনিয়র অধ্যাপকদের নাম পাঠাবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
অন্যদিকে কয়েকদিন আগে রাজভবনে শিক্ষাবিদদের ডেকে গোপন বৈঠক করে ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেটা অবশ্য ছিল জাতীয় শিক্ষানীতিকে এই রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রয়োগ করা। উপাচার্য নিয়োগের আইনে রদবদল আনছে রাজ্য সরকার। এটা জানতে পেরেই কি রাজ্যপাল পাল্টা চাল দিলেন? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য–রাজনীতিতে। উপাচার্য নিয়োগের জন্য তৈরি করা সার্চ কমিটিতে এবার থেকে তিনজনের পরিবর্তে থাকবেন পাঁচ সদস্য। ইউজিসি মনোনীত প্রতিনিধিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের জন্য গঠিত সার্চ কমিটিতে রাখা হচ্ছে। যদিও এটা পুরনো নিয়ম।