শনিবার বিকেলে রাজ্যে এসেছে কোভিশিল্ডের ৩.৫৭ লাখ ডোজ। তারপরই পুরনিগমের তরফে জানানো হল, সোমবার কলকাতায় কোভিশিল্ডের দেওয়া হবে। তবে আপাতত শুধুমাত্র সোমবারই কোভিশিল্ড প্রদানের বিষয়ে জানানো হয়েছে। পর্যাপ্ত জোগান না পেলে মঙ্গলবার থেকে আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য কোভিশিল্ড দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে।
রবিবার কলকাতা পুরনিগমের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, 'আগামী ৯ অগস্ট (সোমবার) আমজনতাকে কোভিশিল্ডের ডোজ প্রদান করা হবে। ভারত সরকারের থেকে পর্যাপ্ত টিকার জোগানের অভাবে আগামী ১০ অগস্ট (মঙ্গলবার) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সমস্ত কোভিশিল্ড প্রদান কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। সাধারণভাবেই চলবে কোভ্যাক্সিনের কেন্দ্র।'
পর্যাপ্ত জোগানের কারণ দর্শিয়ে গত শুক্রবার থেকে কলকাতায় কোভিশিল্ডের প্রদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পুরনিগমের তরফে দাবি করা হয়েছিল, যেমন জোগান মিলবে, সেই ভিত্তিতে কোভিশিল্ড দেওয়া হবে। শনিবার পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের তরফে টিকার জোগান দিতে না পারায় বিপত্তি হয়েছে। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার বা পুরনিগমের হাত-পা বাঁধা। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, শুধুমাত্র কলকাতার বাসিন্দারা পুরনিগমের কেন্দ্র থেকে টিকা নিচ্ছেন, সেটা মোটেও নয়। বরং পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলারও মানুষ কলকাতা থেকে টিকা নিচ্ছেন।
ফিরহাদের মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরেই শনিবার বিকেলে কলকাতায় এসে পৌঁছায় কোভিশিল্ডের ৩৫৭,২৪০ ডোজ। বাগবাজারে সেন্ট্রাল ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার স্টোরে রাখা হয়েছে। তার জেরে কোভিশিল্ডের আকাল কিছুটা মিটবে বলে আশাপ্রকাশ করছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। তবে যে পরিমাণ কোভিশিল্ড কলকাতা পুরনিগমের হাতে এসেছে, তাতে একদিনই সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার করোনাভাইরাস টিকা প্রদান করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।