রেলের ঠিকা শ্রমিকদের দিয়ে আর সাফাইয়ের কাজ করাতে চাইছে না রেল বোর্ড। এই মর্মে সংশ্লিষ্ট স্টেশনগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে সরব হয়েছেন স্টেশনের সাফাই কর্মীরা। ইতিমধ্যেই শিয়ালদার ৪৮টি স্টেশনে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। যার ফলে চরম আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়েছেন সাফাই কর্মীরা। সমস্যার সমাধানে সোমবার শিয়ালদা স্টেশনে জমায়েত করেছিলেন কয়েকশো ঠিকা শ্রমিক। কিন্তু, তারপরেও কোনও সুরাহা হয়নি। এই অবস্থায় প্রতিবাদে সাফাই কাজ বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কর্মীরা। ফলে স্টেশন পরিষ্কার না হলে সে ক্ষেত্রে স্টেশন চত্বরে দুর্গন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে।
ঠিকা শ্রমিকদের বদলে স্টেশনের বুকিং সুপারভাইজারকে এককালীন টাকা দিয়ে সাফাইয়ের কাজ করাতে চাইছে রেল বোর্ড। সেই মর্মেই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। রেল সূত্রের খবর, বড় স্টেশনগুলিতে ঠিকা শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হবে। ছোট স্টেশনগুলির ক্ষেত্রে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার পরিবর্তে রেলের নির্দিষ্ট করে দেওয়া টাকা দিয়ে সাফাইয়ের কাজ করাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রেলের এক অধিকারিক জানিয়েছেন, বরাদ্দ টাকা বাড়ানো সম্ভব না হওয়ায় ঠিকা শ্রমিকদের রেখে কাজ করানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে ঠিকা কর্মীদের সরানো হচ্ছে। অন্যদিকে, রেলের বিরুদ্ধে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ঠিকা শ্রমিকরা। তাদের বক্তব্য, তারা দিনের পর দিন সাফাইয়ের কাজ করে যাচ্ছেন। তারপরেও টাকা পাচ্ছেন না। কখনও ডিআরএম আবার কখনও জিএম সফরের নামে তাদেরকে দিয়ে সাফাই করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় ঠিকা শ্রমিকরা চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। ঠিকা শ্রমিকদের বক্তব্য, আগে চারজন শ্রমিকের জন্য ৪০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা হতো। তবে পরে ১২ হাজার ৪০০ টাকা করা হয়েছে। সেই হিসেবে প্রত্যেক সাফাই কর্মী তিন হাজার টাকা করে পাচ্ছেন। কিন্তু সেই টাকাও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এখন টাকা না পেয়ে সংসার চালানো তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।