কোর্টে হাজিরার আগে অজ্ঞান হয়ে গেলেন কালীঘাটের কাকু। সোডিয়াম পটাসিয়াম লেবেলে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে বলে খবর। এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুকে।এদিকে কালীঘাটের কাকু অসুস্থ হয়ে পড়ায় চার্জ গঠন হল না এদিন। মামলার পরবর্তী শুনানি ২রা জানুয়ারি। এমনটাই সুত্রের খবর।
কী হয়েছে কালীঘাটের কাকুর?
সূত্রের খবর, কালীঘাটের কাকু আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন আদালতের হাজিরার আগেই। তাঁকে প্রাথমিকভাবে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে তাকে জরুরী বিভাগে রাখা হয়। পরে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়। তার এমআরআইয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে খবর। পরে আবার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির চিন্তাভাবনা করা হয়। তার সোডিয়াম ও পটাশিয়ার লেভেলের কিছু অসংগতি রয়েছে বলে খবর। কেমন যেন আচ্ছন্ন অবস্থায় ছিলেন তিনি।
এদিকে প্রাথমিক দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির মামলায় সোমবার চার্জ গঠন হওয়ার কথা ছিল। তবে সকালে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন কালীঘাটের কাকু। তার জেরে স্বাভাবিকভাবেই চার্জ গঠন পিছিয়ে যায়। ব্যাঙ্কশালের বিশেষ সিবিআই আদালতে আসতে পারেননি তিনি। তার জেরে চার্জগঠন পিছিয়ে যায়।
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবী আদালতে জানিয়ে দেন, সকালে আদালতে আসার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়।
বিচারক বলেন, আমি আজ চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু চার্জ গঠন হল না।
এদিকে মামলায় যাদের নাম রয়েছে তাদের মধ্য়ে একমাত্র কালীঘাটের কাকু আসেননি বলে খবর। এদিকে আপাতত বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হতে পারে কাকুকে।
সাধারণত চার্জগঠনের দিনে আদালতে হাজির হতে না পারলে চার্জ গঠন পিছিয়ে যায়। এদিন আদালতে হাজির হতে পারলেন না কালীঘাটের কাকু। তার জেরে চার্জগঠন স্থগিত হয়ে গেল।
সূত্রের খবর, সকাল থেকে শরীরটা ভালো ছিল না বলে খবর। এরপর আদালতে আসার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। প্রথমে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয় ও পরে বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানোর চিন্তাভাবনা করা হয়। এসএসকেএমের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয় তাকে। এদিকে বিচারক এদিন বলেন, একজন অসুস্থ বোধ করা সত্ত্বেও কেন তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হল না? তার শারীরিক পরিস্থিতির যাবতীয় রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।