দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। আজ, রবিবার দুপুর থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে দুর্গাপুর ব্যারেজের রাস্তা। যদিও পূর্ণমাত্রায় যান চলাচল শুরু হতে আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। ব্যারেজের রাস্তা সচল হলে বাঁকুড়া ও দুর্গাপুরের মধ্যে যোগাযোগ অনেকটাই সহজ হবে। দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ রাস্তার কারণে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছিল। রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১৫ জুনের মধ্যে ব্যারেজ সংস্কারের কাজ শেষ করায় খুশি সাধারণ মানুষ। (আরও পড়ুন: এবার টানা বৃষ্টি, কমবে অস্বস্তিকর গরম, ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি জেলায় জেলায়)
আরও পড়ুন: ৭০ বছরে সবথেকে বড় সংস্কারের কাজ দুর্গাপুর ব্যারেজে! ২ মাস বন্ধ ভারী যান চলাচল
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার দুপুর থেকেই বাস, বাইক ও ছোট গাড়ি ব্যারেজের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। এর ফলে দামোদর নদের উপর তৈরি অস্থায়ী রাস্তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। ব্যারেজ সংস্কারের জন্য এই অস্থায়ী রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। সোমবার দুপুর থেকে ভারী পণ্যবাহী ট্রাক ও অন্যান্য বড় যানবাহনও ব্যারেজের রাস্তা ব্যবহার করতে পারবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। (আরও পড়ুন: ২ মাসে পঞ্চম দুর্ঘটনা, কী কারণে উত্তরাখণ্ডে ভেঙে পড়ল হেলিকপ্টার?)
আরও পড়ুন: প্রবল সংকট উত্তরপূর্বে, চিন ঘেঁষা জেলা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল বাকি দেশ থেকে!
শনিবার ব্যারেজের সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার বিষয়টি সরেজমিনে ঘুরে দেখেন বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল বর্ষার আগেই ব্যারেজের কাজ শেষ করতে হবে। সেই অনুযায়ী গত তিন মাস ধরে টানা কাজ হয়েছে। কংক্রিট ও পিচ ঢালাই থেকে শুরু করে সমস্ত কাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করা সম্ভব হয়েছে। বিধায়ক আরও জানান, ব্যারেজের এই রাস্তা অনেক পুরনো। আপাতত সংস্কার হয়েছে। ভবিষ্যতে দামোদর নদের উপর একটি নতুন সেতু নির্মাণের প্রয়োজন আছে। সেইসঙ্গে বড়জোড়ায় রাজ্য সড়কের উপর একটি উড়ালপুল তৈরির দাবি তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানিয়েছেন। (আরও পড়ুন: রাজ্য বকেয়া ডিএ না দিলে 'সুখবর' পেতে পারেন সরকারি কর্মীরা, সামনে বড় দাবি)
আরও পড়ুন: ঠিক কী হয়েছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের? এখন কেমন আছেন বিজেপির সাংসদ?
জানা গিয়েছে, ব্যারেজের সংস্কার ও রাস্তা উন্নয়নের জন্য প্রায় দু’কোটি টাকা খরচ হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে অবহেলিত এই ব্যারেজের রাস্তা এতটাই খারাপ অবস্থায় ছিল যে, যানবাহন চলাচলে প্রায় প্রতিদিনই সমস্যা হচ্ছিল। কাজ শুরু দিকে প্রথমে ডানদিকের লেনের কংক্রিট ও পিচ ঢালাই হয়, পরে বাঁদিকের লেনেও একইভাবে সংস্কার হয়। কাজ চলাকালীন ব্যারেজ দিয়ে শুধুমাত্র যাত্রীবাহী বাস চলছিল। অন্যদিকে, নিচু অংশে দামোদর নদের উপর তৈরি অস্থায়ী রাস্তা দিয়ে চলাচল করছিল সাইকেল, বাইক ও ছোট গাড়ি। ভারী যানবাহনগুলি ঘুরিয়ে দেওয়া হয় বর্ধমানের সদর ঘাট ও জাতীয় সড়কের মেজিয়া সেতু হয়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, চাকরি ও ব্যবসার জন্য দু’পাড়ের মানুষ ব্যারেজের উপর নির্ভর করেন। রাস্তা ভাঙা থাকায় এতদিন ভীষণ সমস্যা হচ্ছিল। এখন নতুন রাস্তা দিয়ে স্বস্তিতে যাতায়াত করা যাবে।