গভীর রাতে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার নতুনগঞ্জে। এই নিয়ে দীর্ঘ এক পোস্ট করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, দরজার তালা ভেঙে বিজেপির দলীয় জেলা কার্যালয়ে ঢোকে পুলিশ। কোনও আগাম তথ্য ছাড়াই পুলিশ হাজির হয়েছিল বিজেপির অফিসে। দাবি করা হচ্ছে, মন্ত্রীর স্বামীর গায়ে হাত দেওয়ার ঘটনায় যুক্ত দুষ্কৃতীদের খোঁজে নাকি পুলিশ বিজেপির পার্টি অফিসে হানা দিয়েছিল। (আরও পড়ুন: ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া 'সময়সীমা' শেষ, কোন পথে রাজ্য সরকার?)
আরও পড়ুন: এবার টানা বৃষ্টি, কমবে অস্বস্তিকর গরম, ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি জেলায় জেলায়
জানা গিয়েছে, রাত দু’টো নাগাদ বাঁকুড়ার নতুনগঞ্জে অবস্থিত বিজেপির দলীয় জেলা কার্যালয়ে হানা দিয়েছিল পুলিশ। তার আগে গতকাল সন্ধ্যা থেকেই বাঁকুড়া শহরের নতুনগঞ্জ এলাকায় সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন ছিল। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ের আশপাশে থেকে নজরদারি চালাচ্ছিলেন তাঁরা। এরপর রাত ২টো নাগাদ বিশাল পুলিশ বাহিনী পার্টি অফিসে আসে এবং মূল গেটের তালা ভাঙে। সেই খবর পেয়ে বিজেপি কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে ছুটে যান। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে। এদিকে দলীয় কর্মীরা পার্টি অফিসে পৌঁছাতেই পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাদের। এরপর পুলিশ এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এরপর পুলিশের অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিজেপি কর্মীরা। (আরও পড়ুন: ২ মাসে পঞ্চম দুর্ঘটনা, কী কারণে উত্তরাখণ্ডে ভেঙে পড়ল হেলিকপ্টার?)
আরও পড়ুন: ফের শিরোনামে ধুলিয়ান, ৬টি গুলি গিয়ে লাগল BSF জওয়ানের গায়ে, হল মৃত্যু
জানা যাচ্ছে, বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছিল বাঁকুড়া সদর থানা ও খাতড়া থানার পুলিশ। সেই অভিযানের কারণ সম্পর্কে পুলিশ কিছু বলেনি। তবে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে খাতড়ায় রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দফতরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামী তুহিন মান্ডি নাকি আক্রান্ত হয়েছিলেন কয়েকজনের হাতে। সেই ঘটনায় যুক্তদের খোঁজেই পুলিশ অভিযান চালিয়েছিল বিজেপির পার্টি অফিসে।
এই নিয়ে শুভন্দু অধিকারী একটি পোস্ট করে লেখেন, 'পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'চপ্পলের' নীচে থাকে। আবারও মেরুদণ্ডহীন দলীয় শক্তি হিসেবে নিজেদের আসল চেহারা উন্মোচিত করেছে পুলিশ। তারা শাসকগোষ্ঠীর পুতুল হিসেবে কাজ করে।' এরপর অনুব্রত মণ্ডলের প্রসঙ্গ টেনে এনে শুভেন্দু লেখেন, 'লুম্পেন অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার বেলায় কী হয় পুলিশের? এই সেই পুলিশ যারা তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীর মুখে পড়লে পালিয়ে যায়।' এরপর মহেশতলার কাণ্ড টেনে এনে শুভেন্দু লেখেন, 'মমতার পুলিশ যেভাবে রুমাল নাড়িয়ে আত্মসমর্পণ করেছিল, তা কেউ ভুলবে না।'