বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মঞ্চ থেকে বলেছেন, এবার চাবি ঘোরালেই অপারেশন শুরু হয়ে যাবে। সুতরাং কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে সামনে রেখে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। কিন্তু বাস্তব ঘটনা হল কেন্দ্রীয় নেতারা বঙ্গ–বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে অত্যন্ত খাপ্পা। তাই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের কাছে নির্দেশ এসেছে, অযথা অসহযোগিতা নয়। বরং সমন্বয় রক্ষা করতে একে অন্যের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। আর গোষ্ঠীকোন্দল মেটান।
ঠিক কী নির্দেশ এসেছে? নয়াদিল্লিতে অমিত শাহ–জেপি নড্ডার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে বাংলায় বিজেপির ক্রমবর্ধমান গোষ্ঠীকোন্দল সামাল দিতে দলের রাজ্য নেতৃত্বকে এই দাওয়াই বাতলেছেন শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতারা বলে বিজেপি সূত্রে খবর। দলের অন্দরের খবর, গত এক সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্য নেতাদের একাংশের ভিন্ন ভিন্ন বৈঠকের প্রত্যেকটিতেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে এই বার্তাই পেয়েছেন রাজ্য বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। তাঁরা এই বিষয়ে মুখ না খুললেও খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা স্পষ্টই রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে হবে। নিজেদের মধ্যে বিরোধে না জড়িয়ে সহযোগিতার মাধ্যমে সার্বিকভাবে বঙ্গ বিজেপির সংগঠনকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে। তার জন্য কাঠামোয় কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। গুজরাত মডেলকে সামনে নিয়ে আসে হচ্ছে। সংগঠনে বুথ কমিটির উপরে রয়েছে শক্তিকেন্দ্র এবং মণ্ডল কমিটি। তার উপরে রয়েছে জেলা কমিটি। এবার এই দু’য়ের মাঝে আরও দুটি স্তর তৈরির কথা বলা হয়েছে।