প্রভাবশালী তত্বে শিলমোহর দিয়ে শিক্ষা দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়সহ ৫ জনের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী। মঙ্গলবার পার্থ - সুবীরেশদের জামিনের আবেদন খারিজ করে তিনি বলেন, এদের জামিন দিলে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে অবিচার করা হবে।সিবিআইয়ের মামলায় পার্থর জামিনের আবেদনে এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের ২ বিচারপতি দ্বিমত পোষণ করেছিলেন। ফলে মামলা তৃতীয় বিচারপতির বেঞ্চে পাঠান প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দেন। তিনি বলেন, ‘জামিন পাওয়া অভিযুক্তের অধিকার। কিন্তু এক্ষেত্রে জামিন দিলে যোগ্য অথচ দুর্নীতির জেরে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে অবিচার করা হবে।’ বিচারপতি চক্রবর্তী বলেন, ‘বার বার বলা সত্বেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার চুপ কেন? তার মানে রাজ্য সরকারের সঙ্গে অভিযুক্তদের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। তিনি প্রাক্তন ক্যাবিনেট মন্ত্রী। ফলে তাঁর জেলমুক্তির ফলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হতে পারে।’গত ২০ নভেম্বর সিবিআইয়ের মামলায় পার্থর জামিনের আবেদনে দ্বিমত পোষণ করেন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের ২ বিচারপতি। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়সহ অভিযুক্ত ৯ জনের জামিন মঞ্জুর করলেও বিচারপতি সিংহ রায় ৫ জনের জামিন মঞ্জুর করেন। তার মধ্যে নাম ছিল না পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এদিন বিচারপতি চক্রবর্তীর নির্দেশের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়সহ অভিযুক্তদের জেলমুক্তির যাবতীয় সম্ভাবনা জলাঞ্জলি গেল। যদিও শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির করা মামলায় ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।