স্পা-এর আড়ালে যৌন ব্যবসা চালানোর অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন স্পা’তে প্রায়ই অভিযান চালিয়ে যৌন ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ ধরপাকড় চালিয়ে থাকে পুলিশ। কিন্তু, স্পা’তে গেলেই যে কোনও গ্রাহক যৌন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকবেন তা বলা ঠিক নয়। এমনটাই মত কলকাতা হাইকোর্টের। এই সংক্রান্ত মামলায় স্পা থেকে পুলিশের অভিযানে ধৃত এক ব্যক্তিকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: 'আমার শাশুড়ির জন্যই বাঁচে ৪০০মেয়ের জীবন', পাচার রুখতে বড় পদক্ষেপ সুনীল শেট্টির
জানা গিয়েছে, পিঠে ব্যথার কারণে ওই ব্যক্তি তথা মামলাকারী ম্যাসাজ নিতে দক্ষিণ কলকাতার একটি স্পা’তে গিয়েছিলেন। এর পরেই ঘটে বিপত্তি। পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। তারমধ্যে ছিলেন মামলাকারীও। যদিও তিনি বারবার পুলিশের কাছে দাবি করেন, যে পিঠের সমস্যার কারণেই তিনি ম্যাসাজ নিতে সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু, পুলিশ কোনও কথা শোনেনি। ইমমরাল ট্রাফিক প্রিভেনশন আইনের ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। পরে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
মামলাটি ওঠে বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের এজলাসে। তাঁর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী ইন্দ্রানুজ দত্ত। আইনজীবীর বক্তব্য, পিঠের সমস্যায় অনেক দিন ধরেই ভুগছিলেন তাঁর মক্কেল। তাই স্পা-তে গিয়েছিলেন ম্যাসাজ নিতে। তিনি কোনও যৌন ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তাছাড়া, তিনি জানতেন না যে সেখানে গোপনে যৌন ব্যবসা চলছিল। যদিও পুলিশ এই দাবি সঠিক নয় বলে পালটা দাবি করে। এছাড়া কেস ডায়েরিতে স্পষ্ট যে ওই স্পা তে কর্মতর কোনও মহিলা দাবি করেননি যে তাদের জোর করে দেহ ব্যবসার কাজে নামানো হয়েছে। ফলে মামলকারী যে দেহ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তা কোনওভাবেই প্রমাণিত হয়নি। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি দত্ত পাল মামলাকারীকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন।