ফের বিতর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে একদল বাউন্সারকে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেল। সব মিলিয়ে ৬ জন বাউন্সার ছিল ওই দলে। সোমবার সকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখেন তারা। আর তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল কর্তৃপক্ষের অনেকেই জানতেন না এরা কারা? তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় যাদুপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। একইসঙ্গে এভাবে বাউন্সার ঘুরতে দেখে কর্তৃপক্ষের দিকেই আঙুল তুলেছেন পড়ুয়ারা। আন্দোলন ঠেকাতেই কি বাউন্সার আনা হয়েছে তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: ওপরের দিকে উঠছে, সোনারপুরের বাড়িতে তেল নাকি অন্য কিছু? রহস্যভেদে নামছে যাদবপুর
বাউন্সার আসার বিষয়টি যাদবপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজির (আইআইসিবি) অস্থায়ী কর্মীদের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত আছে কি না। তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। কারণ এক অধ্যাপকের কথায়, যে বাউন্সারদের এদিন দেখা গিয়েছে তাদের কাছে কোনও ওয়ার্ক অর্ডার বা কাগজপত্র দেখতে পাওয়া যায়নি। তারা শুধু জানিয়েছেন যে ম্যাডামের নিরাপত্তার জন্য এসেছেন। আর এখানে ম্যাডাম বলতে শিক্ষকদের একাংশ মনে করছেন তিনি হলেন ডিরেক্টর বিভা ট্যান্ডন।
জানা গিয়েছে, ১ জানুয়ারি আইআইসিবির ৫১ জন অস্থায়ী কর্মীকে হঠাৎ করে ছাঁটাই করা হয়। তারপরে শুরু হয় আন্দোলন। সেই আন্দোলন তিন দিন ধরে চলতে থাকে। সেই সময় কর্মীদের ঘেরাওয়ের মুখে পড়েছিলেন বিভা। যারফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেই অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেই।আন্দোলনে গবেষক–ছাত্ররাও যোগ দেন।অভিযোগ, চাকরি ফেরাতে সেই ডিরেক্টর নানা শর্ত চাপানোরও চেষ্টা করেছিলেন। যার মধ্যে ছিল ক্যাম্পাসে কোনও আন্দোলন–ঘেরাও করা যাবে না। আর তারপরেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেখা গেল বাউন্সার। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের একটা বড় অংশ, বিজ্ঞানী ও কর্মীরা বাউন্সারদের বিষয়ে জানতেন না বলেই দাবি করেছেন।