সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২৬ হাজার শিক্ষক–শিক্ষাকর্মীদের চাকরি বাতিল হয়েছিল। তার পর আবেদন করতে যোগ্য শিক্ষকদের স্কুলে যেতে নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এরপরই আন্দোলন শুরু করে দেন যোগ্য–অযোগ্য শিক্ষকদের একাংশ। তাঁরা তালিকা প্রকাশের দাবি তোলেন। কারা যোগ্য? আর কারা অযোগ্য? এই তালিকা প্রকাশের দাবিতে গত সোমবার থেকে এসএসসি ভবনের সামনে ধরনায় বসেছিলেন চাকরিহারারা। কদিন আগে শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে স্কুলগুলিতে শিক্ষকদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে আংশিক দাবি পূরণ হয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার অবস্থান তুলে নেন চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। এবার এই সমস্যার সমাধানে পথ দেখালেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
কেমন করে যোগ্য–অযোগ্য পৃথক করা যাবে? ইতিমধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু যোগ্য শিক্ষকদের সংখ্যা জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু কাদের নাম আছে সেটা স্পষ্ট নয়। আর এই তালিকা প্রকাশ্যে আনাও সম্ভব নয়। কারণ তা জমা দিতে হবে সুপ্রিম কোর্টকে। এই বিষয়টির সমাধানে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বিষয়টি আর শিক্ষামন্ত্রীর হাতে নেই। এবার সার্বিকভাবে রাজ্য সরকারকে আন্তরিক হতে হবে। শুধু মুখে কথা বললে হবে না, যোগ্যদের চাকরি বাঁচাতে হলে সুপ্রিম কোর্টে তথ্য পেশ করতে হবে রাজ্যকে। বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন চাকরিহারারা। আর ওই বৈঠকের পরও আন্দোলনে অনড় তাঁরা।’
আরও পড়ুন: সমবায় সমিতির আর্থিক লেনদেনে বাড়তি নজরদারি, ‘অনলাইন অডিট ম্যানেজমেন্ট’ চালু
আজ, শনিবার সকালে ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে প্রাক্তন সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ঘটনা এবং পহেলগাঁওয়ের হত্যালীলাকে একই ফ্রেমে রাখলেন দিলীপ। খড়গপুরের প্রাক্তন সাংসদের বক্তব্য, ‘এটা ধর্ম অর্ধমের লড়াই। আগেও হয়েছে। আগে কাশ্মীরে থাকা হিন্দু পণ্ডিতদের মেরে তাড়ানো হয়েছে। হিন্দু শূন্য করার ছক হয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে এই দেশকে মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা আগেও হয়েছে। মুর্শিদাবাদেও একই ঘটনা ঘটেছে। হিন্দুদের উপর আক্রমণ করে হিন্দু শূন্য করার চেষ্টা চলছে।’
পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় গোটা দেশ কেঁপে উঠেছে। একসঙ্গে ২৬ জনকে গুলি করে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে। তারপরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে ভারত সরকার। জলচুক্তি স্থগিত থেকে শুরু করে পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল, আটারি সীমান্ত বন্ধ, পাকিস্তানের কূটনীতিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ–সহ নানা পদক্ষেপ করেছে ভারত। তবে এখনও ওরা হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। সীমান্তে জোরকদমে চলছে অভিযান। যুদ্ধ প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত বলে সূত্রের খবর। তাই তো দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘কাশ্মীরে হত্যাকাণ্ডের যোগ্য জবাব দেবে ভারত। প্রয়োজনে পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গিদের তুলে আনবে।’