অমিত শাহের বঙ্গ সফরের পর ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর বলেছিলেন, ‘দুই অঙ্ক পার করতে পারবে না বিজেপি।’ এই ভবিষ্যদ্বাণী বেশ তেতো লেগেছে বিজেপি নেতাদের। তাই তাঁরা মানুষের কাছে ভোকাল টনিক দিতে নেমে পড়েছেন। বাবুল সুপ্রিয় ফোঁস করে উঠে টুইটে লিখেছেন, ‘২০২১ সালের পর না থাকবে সাপ (তৃণমূল), না বাজবে (পিকে-র) বাঁশি’। এখন প্রশ্ন, যাঁরা এত আত্মবিশ্বাসী তাঁরা এইসব মন্তব্য করছেন কেন? বৃক্ষের পরিচয় তো ফলে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।প্রশান্ত কিশোরের চ্যালেঞ্জ, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি’র আসন সংখ্যা দুই অঙ্ক পেরিয়ে তিন অঙ্কে যাবে না। তাই নিয়েই একের পর এক বিজেপি নেতৃত্ব পাল্টা টুইট করতে শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, বাংলায় বিজেপি’র সহ–পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা।বাংলায় বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন টুইটারে লেখেন, ‘অন্যের ভবিষ্যদ্বাণীর উপর বিজেপি চলে না, আমরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেরাই তৈরি করি।’ কৈলাস বিজয়বর্গীয় টুইট করেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি’র সুনামি চলছে। সরকার তৈরি হওয়ার পর দেশকে এক ভোট কৌশলীকে হারাতে হবে’।ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের টুইটের কড়া সমালোচনা করেন দলের কেন্দ্রীয় সহ–সভাপতি মুকুল রায়। তিনি বলেন, ‘প্রশান্ত কিশোর কে? ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ নাকি তৃণমূল কর্মী? তার নিজস্ব কোনও দল আছে?’ এই প্রতিটি আক্রমণের জবাব দিলেন প্রশান্ত কিশোরও। তিনি মঙ্গলবার টুইট করেন, ‘তাঁর হিসেব সঠিক হলে ওই বিজেপি নেতারা রাজনীতি ছেড়ে দেবেন তো? কৈলাস বিজয়বর্গীয়, বাবুল সুপ্রিয়, দিলীপ ঘোষরা বলছেন, আমি ভুল প্রমাণিত হব। ওঁরা কি অনরেকর্ড বলতে পারবেন যে আমি ঠিক হলে ওরা রাজনীতি ছেড়ে দেবেন?’