আরও স্পষ্ট হল ফাটল। বঙ্গ–বিজেপি আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে পড়ল। দলের আদি বিক্ষুব্ধ শিবিরের নেতাদের সঙ্গে আজ, সোমবার গোপন বৈঠক করলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। কারণ তিনিই চিন্তন বৈঠকে ঝড় তুলেছিলেন। রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন। তাই তারপরই তাঁকে সাইড করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এখন যা পরিস্থিতি তাতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যদি হস্তক্ষেপ না করে তাহলে বঙ্গ–বিজেপি ভেঙে দু’টুকরো হয়ে ভেঙে পড়বে। এখন যা অদৃশ্যভাবে রয়েছে সেটাই প্রকাশ্যে চলে আসবে। তাই লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বৈঠক নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। এই বৈঠক নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও কথাও বলতে নারাজ রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
আজ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। তার ঠিক আগে বঙ্গ–বিজেপির শীর্ষ দুই মহিলা নেত্রীর মধ্যে সংঘাত চরমে উঠেছে বলে সূত্রের খবর। দুই প্রতিদ্বন্দ্বী লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং অগ্নিমিত্রা পাল। নতুন রাজ্য কমিটি গঠন হওয়ার পর থেকেই বিজেপির এই জোড়া ‘সেলিব্রিটি’র ঠান্ডা লড়াই শিরোনামে উঠে এসেছে। রাজ্য পার্টি এই মুহূর্তে ‘আদি’ এবং ‘নব্য’—দু’ভাগে দ্বিখণ্ডিত। লকেট রয়েছেন মূলত পুরনো নেতাদের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে। অন্যদিকে, সুকান্ত–অমিতাভ গোষ্ঠী ‘কাছের’ নেত্রী অগ্নিমিত্রা।
আজ এই বৈঠক হয় লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। সেখানে উপস্থিত আছেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, রীতেশ তিওয়ারি, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়প্রকাশ মজুমদার, সায়ন্তন বসু এবং সমীরণ পাল। এভাবেই বৈঠক তারা চালিয়ে যাবেন। দলের অনেক নেতা রয়েছেন যারা দলের নেতৃত্বের উপরে বিরক্ত। তারাও এই শিবিরে যোগ দেবেন। বিভিন্ন জেলায় তারা ইতিমধ্যেই কয়েকটি বৈঠক করেছেন। আরও বৈঠক হবে। রাজ্য বিজেপির পাল্টা একটি কমিটি তৈরির কথা ভাবছেন তারা। সেই কমিটির কথা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানানো হবে।