বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > BBC Documentary at Presidency: মোদীর তথ্যচিত্র দেখানোর সময় প্রেসিডেন্সিতে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট, উঠল ‘আজাদি’ স্লোগান
পরবর্তী খবর
BBC Documentary at Presidency: মোদীর তথ্যচিত্র দেখানোর সময় প্রেসিডেন্সিতে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট, উঠল ‘আজাদি’ স্লোগান
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 28 Jan 2023, 10:29 AM ISTAyan Das
BBC Documentary at Presidency University: প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে শুক্রবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। ৫০ জনের বেশি পড়ুয়া সেই তথ্যচিত্র দেখেন। তারইমধ্যে পড়ুয়ারা অভিযোগ তোলেন, ওই তথ্যচিত্র যাতে দেখতে না পারেন, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র প্রদর্শনের সময় প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ উঠল। পড়ুয়াদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারইমধ্যে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্সিতে 'আজাদি' স্লোগানও ওঠে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে শুক্রবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। ৫০ জনের বেশি পড়ুয়া সেই তথ্যচিত্র দেখেন। তারইমধ্যে পড়ুয়ারা অভিযোগ তোলেন, ওই তথ্যচিত্র যাতে দেখতে না পারেন, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সেই পরিস্থিতিতে ব্যাডমিন্টন কোর্টের পরিবর্তে কমন রুমে তথ্যচিত্র দেখানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিকেল ৪ টা ৩০ মিনিট থেকে তথ্যচিত্র দেখানো হতে থাকে। এক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিদ্যুৎ চলে যায় বলে অভিযোগ করেন পড়ুয়ারা।
ইচ্ছাকৃতভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়াদের একাংশ। তার জেরে ক্যাম্পাসে পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই মিছিল থেকে ‘হল্লা বোল’ স্লোগান ওঠে। পড়ুয়ারা বলতে থাকেন, ‘আমরা সাম্প্রদায়িকতা, ঘৃণা এবং একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা আজাদি চাই।’
তারইমধ্যে সন্ধ্যা ছ'টা নাগাদ কমন রুমের বিদ্যুৎ ফিরে আসে। বিষয়টি নিয়ে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ সম্ভবত (বিতর্কিত তথ্যচিত্রের) প্রদর্শনী আটকে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পড়ুয়াদের ঐক্য ও মনোবলের কাছে শেষপর্যন্ত নতিস্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা উদার মনোভাবের প্রচার করে এসেছে। আমরা সেই প্রথা ভাঙতে দেব না।’
যদিও ইচ্ছাকৃতভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক দাবি করেছেন, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। কমন রুমে পড়ুয়ারা কী করছিলেন, সেটির সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কোনও যোগ নেই।