1 মিনিটে পড়ুন Updated: 20 Feb 2023, 05:03 PM ISTSatyen Pal
মৃতের বাবা তারক দাস বলেন, সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। রাতে খোঁজ করেছিলাম। বলেছিল আসছি। একবার ফোন করেছিলাম। রিং হয়ে গেল। একমাস হল ছেলের বিয়ে হয়েছিল। তারপর কেন এই ঘটনা হল বুঝতে পারছি না।
অরিজিৎ দে।
দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর ধরে প্রেম। আর সেই প্রেমিকাকেই স্ত্রী হিসাবে পেয়েছিলেন গড়িয়ার যুবক অরিজিৎ দে। কিন্তু বিয়ের একমাসের মধ্যে ঠিক কী এমন হল যে গঙ্গায় ঝাঁপ দিলেন মাত্র ২৬ বছর বয়সী অরিজিৎ দে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুজনে একই সঙ্গে গড়িয়ার বরদাপ্রসাদ স্কুলে পড়তেন। দীর্ঘদিনের ভালোবাসা। সেই ভালোবাসা পরিণতি পেয়েছিল বিয়েতে। এরপর ১৭ জানুয়ারি বিয়ে হয়েছিল তাদের। কিন্তু বিয়ের একমাসের মধ্য়ে সবশেষ। দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিজেকে শেষ করে দিলেন অরিজিৎ শেষবারের মতো তিনি ফেসবুকে লিখলেন, ভালোবাসা মানে অরিজিৎ ১০০। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?
সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন অরিজিৎ। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। গভীর রাত পর্যন্ত তিনি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেন। এরপর বাইক চালিয়ে বেরিয়ে যান। পরে গঙ্গা থেকে উদ্ধার হয় তার দেহ। তবে বন্ধুদের আড্ডায় অরিজিৎকে ওই রাতে বেশ মন খারাপ মতো লাগছিল। ঠিক কেন মনের কোণে বাসা বেঁধেছিল এত মন খারাপ?
অরিজিতের বন্ধু বলেন, প্রায় রাত দেড়টা পর্যন্ত আমরা আড্ডা দিই। রাত দশটা নাগাদ ও এসেছিল। তারপর আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম। তবে ওর মন মেজাজ একটু খারাপ লাগছিল। রাত একটা না দেড়টা বাজে। সবাই বলল তুমি বাড়ি চলে যাও। বাইকগুলো আমার বাড়িতেই রেখেছিল সবাই। তারপর সবাই বেরিয়ে গেল। আজ সকালে জানতে পারি আমার ফ্ল্যাটের নীচে ভোর ৫টা নাগাদ এসেছিল। ওর এক বন্ধুর লাইসেন্স সিকিউরিটির কাছে দিয়ে গিয়েছিল। তারপর সাড়ে দশটা নাগাদ আমাকে বন্ধুরা বলল মনে হয় বাবুদা সুইসাইড করেছে। আমার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না এমন কিছু সে করতে পারে।