বছর দশেক আগের ঘটনা। এনআরএসের হস্টেলে মোবাইল চোর সন্দেহে এক মানসিক সমস্যা রয়েছে এমন এক যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই কোরপান শার মৃত্য়ুর ঘটনা কার্যত সাডা় ফেলে দিয়েছিল গোটা বাংলায়। এবার তেমনই ঘটনা বৌবাজারে। কলকাতার এক হস্টেলে মোবাইল চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ। মৃত্যু হয়েছে মহম্মদ ইরশাদ নামে এক যুবকের। তিনি ইলেকট্রিকের দোকানে কাজ করতেন। এদিকে সেই দোকানের মালিককে তিনি শেষবারের মতো ফোন করেছিলেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
তিনি ফোনে ঠিক কী বলেছিলেন ওই দোকানের মালিককে?
পুলিশ জানতে পেরেছে হস্টেলে যখন তাকে মারধর করা হচ্ছিল তখন তিনি দোকানের মালিককে ফোন করেছিলেন। ফোনে তিনি বলেছিলেন বউবাজারে কয়েকজন যুবক তাকে মারধর করছে। তাড়াতাড়ি ১০ হাজার টাকা নিয়ে এসো। নাহলে এরা মেরে ফেলবে। এরপর দোকানের মালিক ছুটে গিয়েছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে নেতিয়ে পড়েছে ইরশাদ। এরপর তাকে কার্যত অচৈতন্য় অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল। তার সারা শরীরে আঘাতের দাগ রয়েছে। বুকেও তার আঘাত লেগেছিল। তবে ময়না তদন্তের পরেই সবটা বোঝা যাবে।
এদিকে সূত্রের খবর, গত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় মোবাইল চুরির ঘটনা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবারও মোবাইল চুরির নালিশ জমা পড়েছিল থানায়। এদিকে সকালের দিকে ইরশাদকে হস্টেলের নীচে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছিলেন স্থানীয় এক মিষ্টি বিক্রেতা। তিনিই হস্টেলের ছেলেদের খবর দেন। এরপর ওই যুবককে ধরে ফেলে হস্টেলের ছেলেরা। এরপর কার্যত মারতে মারতে তাকে নিয়ে যাওয়া হস্টেলের দোতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও চলে বেধড়ক মার। ভারী ব্যাট বা লাঠি দিয়ে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।