বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > কলকাতাকে বস্তিমুক্ত করতে উদ্যোগ, তৈরি ২২০টি ফ্ল্যাট, তুলে দেওয়া হবে বাসিন্দাদের হাতে
পরবর্তী খবর
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের ইচ্ছে সারদা মায়ের বাগবাজারের বাড়ির এলাকা সুন্দর করে সাজিয়ে তুলবেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই ইচ্ছেপূরণ করছে কলকাতা পুরসভা। বাংলার বাড়ি প্রকল্পে গ্রামের পাশাপাশি শহরেও বড় বড় আবাসন বানানো হচ্ছে। কলকাতায় বহু মানুষ বস্তিতে থাকেন। তাদের জন্যও বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ফ্ল্যাট তৈরি করে দিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। এই প্রকল্পের অধীনে মায়ের বাড়ি সংলগ্ন বস্তি এলাকায় ইতিমধ্যেই ২২০ টি ফ্ল্যাট তৈরি করেছে কলকাতা পুরসভা। যার মধ্যে ১০০টি ফ্ল্যাটের চাবি ইতিমধ্যেই হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ফ্ল্যাটের জন্য ৫০০ টি আবেদন জমা পড়েছে। এর জন্য যৌথ উদ্যোগে কাজ করছে বস্তি এবং সার্ভে বিভাগ। মেয়র ফিরহাদ হাকিম এর জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে পুরসভায় বিক্ষোভ বামেদের, ডেপুটেশন মেয়র ফিরহাদকে
জানা যাচ্ছে, এই আবাসনগুলিতে প্রত্যেক পরিবারের জন্য থাকছে দুটি বেডরুম একটি শৌচালয়, একটি রান্নাঘর এবং এক ফালি বারান্দা। পুরসভা সূত্রে জানা যাচ্ছে, যে আবাসন তৈরি করা হচ্ছে সেগুলির উচ্চতায় ১৫ মিটারের বেশি হবে না। অর্থাৎ চার তলার বিল্ডিং হবে। পুরসভা সূত্রে জানা যাচ্ছে, উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা মিলিয়ে প্রায় ২৬০০- এর মতো বস্তি রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু বস্তি রয়েছে যেগুলি ঠিকাদারদের জমিতে অবস্থিত। সে ক্ষেত্রে ঠিকা কন্ট্রোলারের অনুমতি নেই বাংলার আবাস যোজনায় বাড়ি করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বস্তি মানে ঘিঞ্জি এলাকা। একটা দুটো শৌচালয়ে ভিড় জমে বস্তিবাসীদের। আর কলেও জমে প্রচুর ভিড়। তবে আগামী দিনে সেই চিত্র আর থাকবে না। বস্তি মুক্ত হবে কলকাতা। এমনটাই জানাচ্ছেন আধিকারিকরা। পুরসভা সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১ নম্বর বরোর ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ২২০ টি ফ্ল্যাট তৈরি হয়েছে। রতন বাবুর ঘাট এলাকায় ৩০ টি ফ্লাট তৈরি হয়েছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৈরি হয়েছে আরও ৩০ ফ্ল্যাট। ২ নম্বর ওয়ার্ডে তৈরি হয়েছে ৩২ টি ফ্ল্যাট, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৈরি হয়েছে ২০টি ফ্ল্যাট। ৩২ ওয়ার্ডে ২০৮টি এবং ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে ২০০টি ফ্ল্যাট তৈরি হয়েছে। ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডে দুটি আবাসনে ৩০০ টি ফ্ল্যাট তৈরি করা হয়েছে।বিশেষজ্ঞদের মতে, কলকাতা পুরসভাকে বস্তি মুক্ত করতে বস্তিবাসীদের পাকা বাড়ি দেওয়া একটি বড় পদক্ষেপ। উল্লেখ্য, আবাসন নির্মাণ, পানীয় জল, বিদ্যুৎ সংযোগ, রাস্তা ও নিকাশি নালা তৈরির যাবতীয় খরচ বহন করছে রাজ্য সরকারই।