ভাঙড়ে যে সিসিটিভিগুলি লাগানো হয়েছে সেগুলি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির। সাধারণত কলকাতা শহরে থাকা সিসিটিভিগুলি তার যুক্ত হওয়ায় ঝড় বৃষ্টি হলে গাছের ডালপালা পড়ে প্রায়ই ছিঁড়ে যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে সিসিটিভিও পড়ে গিয়ে খারাপ হয়ে যায়।
ভাঙড়ে আরও ২০০ টি সিসিটিভি বসবে। প্রতীকী ছবি
কলকাতা পুলিশের অধীনে আসতে চলেছে ভাঙড়। তাতে সংযোজন হতে চলেছে আরও ৯টি থানা এবং একটি ট্রাফিক গার্ড। মূলত আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের অধীনে আনা হচ্ছে। তাই সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নিশ্চিত করতে চাইছে লালবাজার। এরজন্য ভাঙড় ডিভিশনে ইতিমধ্যেই বসানো হয়েছে ৫০ টি সিসিটিভি। পরীক্ষামূলকভাবে বসানো হয়েছিল ওই সিসিটিভিগুলি। তাতে সফল হওয়ায় গোটা ভাঙড়কে সিসিটিভির নজরদারিতে মুড়ে ফেলতে চাইছে লালবাজার। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, সেখানে আরও ২০০টি ক্যামেরা লাগানো হবে ভাঙড়ের অপরাধমূলক এলাকা থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়গুলিতে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙড়ে যে সিসিটিভিগুলি লাগানো হয়েছে সেগুলি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির। সাধারণত কলকাতা শহরে থাকা সিসিটিভিগুলি তার যুক্ত হওয়ায় ঝড় বৃষ্টি হলে গাছের ডালপালা পড়ে প্রায়ই ছিঁড়ে যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে সিসিটিভিও পড়ে গিয়ে খারাপ হয়ে যায়। তবে ভাঙড়ে যে সিসিটিভিগুলি লাগানো হয়েছে সেগুলি তারবিহীন সোলার ব্যাটারিতে চলছে। ওই ক্যামেরাগুলির ফুটেজ সম্প্রতি খতিয়ে দেখেছেন লালবাজারের কর্তারা। তা দেখে তারা সন্তুষ্ট হয়েছেন। তারপরে আরও ক্যামেরা লাগানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভাঙড়ে গাছপালা বেশি থাকার কারণে সোলার ব্যাটারিতে চলা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্যামেরায় বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, মেঘলা আবহাওয়ার দিনেও বেশ ভালোভাবে চার্জ হচ্ছে সিসিটিভির ব্যাটারি। এমনকী রাতের অন্ধকারেও ১০ ঘণ্টা চলছে। ক্যামেরাতে রয়েছে সিম কার্ড এবং মেমোরি কার্ড। সরাসরি সেখান থেকে ছবি চলে যাচ্ছে ৪৫ কিলোমিটার দূরে লালবাজারের কন্ট্রোলরুমে। আবার কয়েকজন পুলিশের পদস্থ আধিকারিকও নিজেদের মোবাইলে সেই ফুটেজ সরাসরি দেখতে পাচ্ছেন। এর ছবিও উন্নতমানের বলে জানিয়েছে আধিকারিকরা।