সম্প্রতি বেতন না পাওয়ায় বেহালায় কলকাতা পুরসভার একটি অফিসে বিক্ষোভ দেখান ১০০ দিনের কাজের কর্মীরা। আসলে তাঁদের হঠাৎ কর্মচ্যুত করে নতুন কর্মীদের দিয়ে ১০০ দিনের কাজ শুরু করা হয়েছিল। একই অভিযোগ উঠেছিল উত্তর কলকাতার কাশীপুর–বেলগাছিয়া এলাকাতেও। অভিযোগ, ওই ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত নানা এলাকায় অভিযোগ উঠছিল, আগেকার বোর্ডের কাউন্সিলররা যে সব কর্মীকে ১০০ দিনের কাজের জন্য নিয়োগ করেছিলেন, তাঁদের ছাঁটাই করে দেওয়া হচ্ছে। পরিবর্তে নেওয়া হচ্ছে নতুন কর্মীদের। এই অভিযোগ তুলে শহরের নানা বরো কার্যালয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। এবার সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কড়া পদক্ষেপ করলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আর তাতেই কাজ বেঁচে গেল একশো দিনের কর্মীদের।
কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে এবার সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মেয়রকে না জানিয়ে বা তাঁর বিনা অনুমতিতে ১০০ দিনের কাজে নেওয়া কোনও কর্মীকে ছাঁটাই করা যাবে না। এমনকী নতুন যাঁরা কাউন্সিলর হয়েছেন তাঁরা যেন নিজ নিজ ওয়ার্ডে আগেকার কাউন্সিলরদের ঠিক করে যাওয়া কর্মীদের ছাঁটাইয়ের সুপারিশ না করেন। যদি দরকার হয় তাহলে আরও বেশি লোককে এই প্রকল্পের কাজ দেওয়া হবে। কিন্তু যাঁরা কাজ করছিলেন তাঁদের ছাঁটাই করা যাবে না। এই নির্দেশ প্রকাশ্যে আসার পর খুশি একশো দিনের কর্মীরা।
আর কী জানা যাচ্ছে? সম্প্রতি বেতন না পাওয়ায় বেহালায় কলকাতা পুরসভার একটি অফিসে বিক্ষোভ দেখান ১০০ দিনের কাজের কর্মীরা। আসলে তাঁদের হঠাৎ কর্মচ্যুত করে নতুন কর্মীদের দিয়ে ১০০ দিনের কাজ শুরু করা হয়েছিল। একই অভিযোগ উঠেছিল উত্তর কলকাতার কাশীপুর–বেলগাছিয়া এলাকাতেও। অভিযোগ উঠেছিল ওই ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। তখন গোটা বিষয়টি মেয়রের কানে পৌঁছয়। তৎক্ষণাৎ তাঁর নির্দেশে দুটি জায়গাতেই হস্তক্ষেপ করে পুরসভা কর্তৃপক্ষ। আর জারি করা হয় নয়া বিজ্ঞপ্তিও। এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন পুর কমিশনার বিনোদ কুমার। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, মেয়র ফিরহাদ হাকিমের অনুমতি ছাড়া এখন থেকে ১০০ দিনের কাজের কর্মীদের ছাঁটাই করা যাবে না। নতুন নিয়োগও করা যাবে না। বিজ্ঞপ্তির কপি কাউন্সিলরদের মধ্যে বিলিও করা হয়েছে।