বহু কষ্টে উদ্ধার করা হয়েছিল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার ফোন। পুকুরের মধ্য়ে ডুবে থাকলেও দামী ফোন থেকে কিছু তথ্য আপাতত উদ্ধার করতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। আর তাতেই সামনে আসছে অবাক করা কাণ্ড।সূত্রের খবর, পুকুর থেকে জীবনকৃষ্ণের যে ফোন উদ্ধার করা হয়েছিল তার মধ্যে একটিতে অন্তত শতাধিক অডিও ফাইল পেয়েছে সিবিআই। একটি ফোনেই শ খানেক অডিও ফাইলের সন্ধান পেয়ে হতবাক তদন্তকারীরা। কীভাবে বিধায়কের ফোনে এত অডিও ফাইল এল তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে এই অডিও ফাইলে যে কণ্ঠস্বর রয়েছে তা বিধায়কের কি না তা যাচাই করে দেখা হবে। সেকারণে বিধায়কের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চায় সিবিআই। মূলত ফোনে থাকা অডিওর সঙ্গে সেই কণ্ঠস্বর মিলিয়ে দেখা হবে।এদিকে তল্লাশি চলাকালীন বাড়ির পাশের পুকুরে দুটি ফোন ফেলে দিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। তারপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা তল্লাশি চালায় সিবিআই। পুকুরের জল ছেঁচে তুলে ফেলা হয়। জেসিবি নিয়ে এসেও পুকুরের পাঁক কেটে ফেলা হয়। শেষ পর্যন্ত উদ্ধার হয় দুটি ফোন। আর সেই ফোন খোলার পরেই তাজ্জব গোয়েন্দারা। এদিকে আগামী ৩০ এপ্রিল বড়ঞাঁর বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন বিধায়ক।তবে তার মধ্যেই এবার জীবনকৃষ্ণের ফোনে তথ্য যাচাই করতে গিয়ে বেরিয়ে আসছে একের পর এক অবাক করা তথ্য। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, জীবনকৃষ্ণের ফোনের অডিও ফাইল কার্যত তদন্তের মোড় এবার অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতে পারে।সম্প্রতি দিল্লি থেকে সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরির বিশেষ প্রতিনিধিদল কলকাতায় এসেছিলেন। তাদের প্রচেষ্টাতেই শেষ পর্যন্ত ফোন থেকে একে একে তথ্য উদ্ধার করা হচ্ছে। আর সেই তথ্যের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল অডিও নথি। মূলত বিধায়ক কাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, চাকরির লেনদেন সংক্রান্ত কোনও কথাবার্তা হয়েছিল কি না এসবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এদিকে মঙ্গলবার জীবনকৃষ্ণ সাহাকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিল সিবিআই। শেষ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় তদন্তকারীদের আবেদন মেনে নেন। এদিকে আদালতে তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়ে দেন, স্যার একটা অভাবনীয় পরিস্থতি হয়েছে। একটি ফোন থেকে প্রায় ১০০ টি অডিও ফাইল পাওয়া গিয়েছে। আর একটি ফোন থেকে তথ্য় উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।এদিকে এই ফোনে যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য় রয়েছে তা আগেই আঁচ করেছিলেন তদন্তকারীরা। সেকারণেই এত ঘণ্টার তল্লাশি। পাশাপাশি সন্দেহ করা হচ্ছে তথ্য অন্য জায়গায় সরিয়ে দিয়ে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতেই কি সেদিন ফোন পুকুরে ফেলেছিলেন বিধায়ক?