এখন আগের থেকে অনেকটা কমেছে আলুর দাম। যা একসময় মাথাব্যথা করার কারণ হয়েছিল। পেঁয়াজও এখন আগের থেকে কম দামে মিলছে। তার উপর সুফল বাংলার স্টলে আর একটু কমে পাওয়া যাচ্ছে আলু–পেঁয়াজ। তাতে বঙ্গবাসীর বেশ খানিকটা উপকার হয়েছে। গৃহস্থদের বাজারে গিয়ে হাপিত্যেশ করতে হচ্ছে না। ২৫ টন সংরক্ষণের পেঁয়াজ গোলা তৈরি করছে।
Ad
পেঁয়াজ
প্রত্যেক বছরই পেঁয়াজের দামের ঝাঁঝে মধ্যবিত্তের চোখে জল গড়িয়ে পড়ে। আর তা নিয়ে নাভিশ্বাস ওঠে বাংলার মানুষজনের। এই অবস্থা কাটাতে এবার পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। যাতে কম দামে সারাবছর বাংলার মানুষ পেঁয়াজ খেতে পারেন তার জন্য পদক্ষেপ করল কৃষি বিপণন দফতর। আর তাই এবার বাংলার মাটিতে পেঁয়াজ গোলা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে পেঁয়াজের মতো জরুরি একটি পণ্য হেঁসেলে রাখতে আর নাভিশ্বাস উঠবে না। আর তাই রাজ্যবাসীকে কম দামে পেঁয়াজ কেনার সুযোগ করে দিতে ২৫ টন সংরক্ষণের ক্ষমতাসম্পন্ন পেঁয়াজ গোলা তৈরি করছে রাজ্য সরকার।
এদিকে এখন আগের থেকে অনেকটা কমে গিয়েছে আলুর দাম। যা একসময় মাথাব্যথা করার কারণ হয়ে উঠেছিল। পেঁয়াজও এখন আগের থেকে কম দামে মিলছে। তার উপর সুফল বাংলার স্টলে আর একটু কমে পাওয়া যাচ্ছে আলু–পেঁয়াজ। তাতে বঙ্গবাসীর বেশ খানিকটা উপকার হয়েছে। গৃহস্থদের বাজারে গিয়ে হাপিত্যেশ করতে হচ্ছে না। কিন্তু যাতে আবার নতুন করে গরম পড়লে পেঁয়াজের দাম উর্দ্ধমুখী না হয় সেদিকে তাকিয়েই এমন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। গতকাল উলুবেড়িয়া পুরসভা এলাকায় সুফল বাংলার স্থায়ী বিপণন কেন্দ্র উদ্বোধনে এসে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, ‘হাওড়া, হুগলি, নদিয়া–সহ সাতটি জায়গায় পেঁয়াজ গোলা গড়ে উঠবে। একই সঙ্গে পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধি করতেও রাজ্য সরকার সচেষ্ট।’
অন্যদিকে এই কাজ বাস্তবায়িত হলে রাজ্যবাসীকে আর পেঁয়াজ নিয়ে চাপে পড়তে হবে না। এখন রাজ্য সরকার পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন করছে। উৎপাদিত টম্যাটো সংরক্ষণেও জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। আর সেখানে বেচারাম মান্নার বক্তব্য, ‘২৫ টন পেঁয়াজ সংরক্ষণ সম্ভব হবে। ধীরে ধীরে তা আরও বাড়ানো হবে। আর আপাতত সাতটি পেঁয়াজ গোলা তৈরি হচ্ছে। এটাও পরে বাড়বে। রাজ্যে এখন ৬৪৬টি সুফল বাংলা বিপণি কেন্দ্র চালু আছে। তার মধ্যে স্থায়ী ৮১টি এবং অস্থায়ী ৪৫৮টি। উলুবেড়িয়ায় বিপণি উদ্বোধন হওয়ার পর স্থায়ী কেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়াল ৮২। কদিন আগে বাজারে আলুর দাম যখন অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল, তখন হাওড়া, হুগলি, কলকাতা–সহ ১০৬টি অতিরিক্ত অস্থায়ী বিপণি খোলা হয়েছিল। কিছু ভ্রাম্যমান বিপণিও চালু আছে। আরও ৫০টি গাড়ি কেনা হচ্ছে।’