কোচের ছাদে লাগানো হয়েছে কাঁচ। যাতে বাইরের আলো সহজে ঢুকতে পারে। প্রত্যেক কোচে থাকছে ওয়াইফাই এবং জিপিএস সিস্টেম ব্যবস্থা। এমনকী অন্ধ ব্যক্তিদের জন্য ব্রেইল মাধ্যমে আসন সংখ্যা দেওয়া আছে। পরীক্ষামূলকভাবে আজ থেকে ভিস্তাডোম কোচ যুক্ত করা হচ্ছে শতাব্দী এক্সপ্রেসে। প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করবেন পর্যটকরা।
Ad
হাওড়া–এনজেপি শতাব্দী এক্সপ্রেসে জুড়ে দেওয়া হল ভিস্তাডোম কোচ।
পর্যটকদের জন্য উত্তরবঙ্গ সফর এবার থেকে বেশ আরামদায়ক হতে চলেছে। আজ, সোমবার পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে হাওড়া–এনজেপি শতাব্দী এক্সপ্রেসে জুড়ে দেওয়া হল ভিস্তাডোম কোচ। এই কোচে একাধিক সুবিধা থাকায় ট্রেন যাত্রা আগের চেয়ে বেশ আরামদায়ক এবং আকর্ষণীয় হবে বলে মনে করছে রেল। উত্তরবঙ্গগামী এই ট্রেনে অভিনব কোচটি যোগ হয়েছে। এই কোচগুলির ছাদ স্বচ্ছ কাচ দিয়ে মোড়া। আর আকারে বড় কাচের জানলাও রয়েছে। যাত্রীরা ট্রেন সফরের সময় এবার বাইরের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে পাবেন। সুতরাং আকর্ষণীয় হচ্ছে যাত্রাপথ।
এদিকে এই ট্রেনের যাত্রীরা দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য বসে উপভোগ করে যাতায়াত করতে পারবেন। আবার এখানে বসবার আসনগুলিতে আছে পুশব্যাক চেয়ারের ব্যবস্থা। যা অত্যন্ত আরামদায়ক। পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম সঞ্জীব কুমার জানান, যে রুটে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বেশি সেই রুটের ট্রেনে ভিস্টাডোম কোচ লাগানো হয়েছে। এতে বসার আসন সামনে পিছনে করার পাশাপাশি ৩৬০ ডিগ্রি ঘোরানো যাবে। ট্রেনের জানালার শাটার তুললে ঝকঝকে বড় কাঁচ। ফলে সহজেই বাইরের প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা।
অন্যদিকে কোচের ছাদেও লাগানো হয়েছে কাঁচ। যাতে বাইরের আলো সহজে ঢুকতে পারে। প্রত্যেকটা কোচে থাকছে ওয়াইফাই এবং জিপিএস সিস্টেম ব্যবস্থা। এমনকী অন্ধ ব্যক্তিদের জন্য ব্রেইল মাধ্যমে আসন সংখ্যা দেওয়া আছে। পরীক্ষামূলকভাবে আজ থেকে ভিস্তাডোম কোচ যুক্ত করা হচ্ছে শতাব্দী এক্সপ্রেসে। ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নির্দিষ্ট দিনগুলিতে যাত্রীরা এই বাড়তি আরামদায়ক কোচে যাত্রা করতে পারবেন। ভিস্তাডোম যাত্রীদের মধ্যে জনপ্রিয় হলে এবং চাহিদা বাড়লে বিষয়টি নিয়মিত শতাব্দীর সঙ্গে যোগ করা থাকবে। তখন এই পরিষেবা নিয়মিত পাবেন সকলেই।