ফের রাজ্যে প্রকাশ্যে গুন্ডামির অভিযোগ উঠল সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে। এবার দাবি মতো তোলা না দেওয়ায় এক ট্রাকচালককে মারধরের অভিযোগ উঠল ৩ সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ভেলাবাড়িতে এই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হলে ৩ অভিযুক্তকে দায়িত্ব থেকে সরাতে বাধ্য হয় পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা সূত্রে।জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার ডালখোলা হাট থেকে কিনে গাড়িতে কয়েকটি গরু নিয়ে যাচ্ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের বাংরুয়া এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন। ভেলাবাড়ি চেকপোস্টে তাদের গাড়ি দাঁড় করায় ৩ সিভিক ভলান্টিয়ার। অভিযোগ, গরু নিয়ে যেতে ১ হাজার টাকা দাবি করে তারা। কিন্তু ১০০০ টাকার বদলে ৫০০ টাকা দিতে রাজি হন রুহুল। অভিযোগ তখন তাঁকে টেনে হিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামায় ৩ সিভিক ভলান্টিয়ার। নাকা পোস্টের পাশে পুলিশকর্মীদের বিশ্রাম নেওয়ার ঘরে নিয়ে যায় তাঁকে। এর পর ওই ট্রাকচালককে ব্যাপক মারধর করে ৩ জন। আঘাত লাগে রুহুল আমিনের হাতে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায়। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করেন রুহুলের সঙ্গে থাকা ট্রাক মালিক।সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায়। তোলা না পেয়ে সিভিকের বিরুদ্ধে মারধরের ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে সব মহলে। অবশেষে বেলা বাড়লে ৩ সিভিক ভলান্টিয়ারকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ওসি। তাদের থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই চেকপোস্টে রোজ তোলাবাজি করে সিভিক ভলান্টিয়াররা। টাকা না দিলে মারধরের ঘটনাও এই প্রথম নয়। তবে এর আগে কারও বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ হয়নি। এমনকী মোটা টাকার বিনিময়ে ওই চেকপোস্ট দিয়ে বিহারে মদ পাচার হয় বলেও দাবি তাঁদের। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বিহার সীমানার খুব কাছে ওই চেকপোস্টে পুলিশ আধিকারিকদের থাকা উচিত। তার জায়গায় মোতায়েন করে রাখা হয়েছে কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে।