অভিষেকের দক্ষিণ দিনাজপুর সফরের মধ্যে ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রে বালুরঘাটের দণ্ডি কাণ্ড। আর এই ঘটনায় দলের আদিবাসী ভোটব্যাঙ্কে ধস নামতে বুঝে আদিবাসীদের চোখে তৃণমূল ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করছে বিজেপি। তাদের দাবি, পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের মতো গুরুত্বহীন পদ থেকে অপসারণ করে প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল।মঙ্গলবার বালুরঘাট সফরে গিয়ে দণ্ডিকাণ্ডে নির্যাতিতা তিন আদিবাসী মহিলার সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক। এর পর তিনি বলেন, এদের সঙ্গে যা হয়েছে, তা দল সমর্থন করে না। দল অবশ্যই দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করবে। এর পর প্রকাশ্যে আসে বালুরঘাটের পুরপ্রধানের একটি নির্দেশিকা। তাতে প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণের কথা ঘোষণা করেন তিনি।যদিও তৃণমূলের এই পদক্ষেপকে আদিবাসীদের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা বলে দাবি করেছে বিজেপি। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু ঘটনার ৭ দিন পর জাতীয় উপজাতি কমিশন, জাতীয় মহিলা কমিশন সক্রিয় হওয়ার পর ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের একজন প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। প্রদীপ্তাকে ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণের ঘটনায় স্পষ্ট যে তৃণমূল মানছে তিনি এই ঘটনায় যুক্ত। তাহলে তাঁকে তপশিলি উপজাতি নিপীড়ন বিরোধী আইনে গ্রেফতার করা হল না কেন? প্রদীপ্তাকে ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে আসলে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। তারা ভাবছে এতে আদিবাসীদের ক্ষোভ তারা মেটাতে পারবে কিন্তু তা হবে না।শংকরবাবু আরও বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান আবার কোনও পদ না কি? এই পদের কোনও সাংবিধানিক স্বীকৃতি নেই। চেয়ারম্যান তাঁর কাজে সুবিধার জন্য ভাইস চেয়ারম্যান নিয়োগ করেন। যে পদ থেকে কাউকে নির্দেশিকা জারি করে সরিয়ে দেওয়া যায় সেই পদ হারানো কখনও শাস্তি হতে পারে না।শংকরবাবু মনে করান, ঘূর্ণিঝড় আমফানের ক্ষতিপূরণে দুর্নীতি নিয়ে যখন গোটা রাজ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছিল তখনও এই ধরণের পদক্ষেপ করেছিল তৃণমূল। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে FIR করার বদলে তাদের মুচলেকা দিয়ে টাকা ফেরত দিতে বলেছিল। সেবারও তারা সফল হয়নি, এবারও হবে না।