মৌসুমী ও গৌতমের প্রেমের সম্পর্ক এলাকার সকলেই জানতেন। কিন্তু শেষ পরিণতি এমন হবে এটা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। পুলিশের পক্ষ থেকে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে এই ঘটনার পর গৌতম বেরাকে এলাকায় দেখা যায়নি।
জগৎবল্লভপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। আর এই ঘটনায় জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনে আত্মঘাতী হয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যা বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ। বেশ কদিন ধরে প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। আর তার জেরেই তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যা আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ। আজ, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে জগৎবল্লভপুরের মাজুতে।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, একটা প্রণয়ের সম্পর্কের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে সেটা আরও খতিয়ে দেখতে হবে। জগৎবল্লভপুরের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মৃত তৃণমূল কংগ্রেস সদস্যের নাম মৌসুমী পালক (৩৩)। আজ, শুক্রবার ওই তরুণীকে নিজের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তৎক্ষণাৎ তাঁকে উদ্ধার করে গাববেরিয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে। আর অভিযোগ উঠতে শুরু করে।
অন্যদিকে মৃত পঞ্চায়েত সদস্যার পরিবারের অভিযোগ, কয়েক বছর ধরে মৌসুমীর সঙ্গে ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান গৌতম বেরার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ২০২৪ সালের প্রথমেই তাঁদের বিয়ের রেজিস্ট্রি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিয়ে নিয়ে কদিন ধরেই দু’জনের মধ্যে বিস্তর টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। মৌসুমীর মৃত্যুর জন্য তাঁর পরিবারের সদস্যরা গৌতম বেরাকেই দায়ী করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন এই গৌতম। যদিও এতকিছুর পর গৌতমের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
এছাড়া স্থানীয় সূত্রে খবর, মৌসুমী ও গৌতমের প্রেমের সম্পর্ক এলাকার সকলেই জানতেন। কিন্তু শেষ পরিণতি এমন হবে এটা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। পুলিশের পক্ষ থেকে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে এই ঘটনার পর গৌতম বেরাকে এলাকায় দেখা যায়নি। পুলিশ গৌতমের মোবাইলে ফোন করে বন্ধ পেয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এলাকার মানুষজনের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ।