রামপুরহাট গণহত্যার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন, বেআইনি অস্ত্র–বোমা উদ্ধার করতে। তারপর থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে অস্ত্র এবং বোমা উদ্ধার হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক করজোড়ে ভিডিয়ো বার্তায় বলছেন, যার কাছে যা বেআইনি অস্ত্র আছে সেটা থানায় গিয়ে নিজেরাই জমা করুন। (যদিও এই ভিডিয়ো–র সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল)। তবে এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই জোর বিতর্ক দানা বেঁধেছে।এই ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছেন বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। তাঁর এই অনুরোধে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক? ভিডিয়ো বার্তায় শ্যামল মণ্ডলকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘বাসন্তীতে যাঁদের কাছে বেআইনি অস্ত্র রয়েছে, তাঁরা যেন আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সে সব স্থানীয় থানা, এসডিপিও অফিস বা পুলিশ–প্রশাসনের কাছে জমা দেন। পুলিশ–প্রশাসনকেও এলাকা থেকে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের আবেদন জানাচ্ছি। কেউ নিজেদের হাতে আইন তুলে নেবেন না। অস্ত্র প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়ে সাধারণ জীবনে ফিরে এলে সরকার সাহায্য করবে।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো বার্তা ছড়িয়ে পড়তেই তা নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন বিরোধীদলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বিষয়টি নিয়ে টুইট খোঁচা দেন। ঠিক কী লিখেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক? পাল্টা টুইট প্রতিক্রিয়ায় তিনি লেখেন, ‘ওঁর এই অসহায় আবেদনে আমি উদ্বিগ্ন। নিজের (শ্যামল মণ্ডল) বিধানসভা এলাকায় বেআইনি অস্ত্র মজুতকারীদের কাছে উনি কাতর আবেদন জানাচ্ছেন।’ তবে শুভেন্দুর খোঁচার জবাব দিয়েছেন শ্যামল। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘এই নিয়ে সস্তার রাজনীতির কোনও মানে হয় না।’ যদিও এই ভিডিয়ো বার্তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কেন এমন বার্তা দিলেন বিধায়ক? তিনি কী জানেন কাদের কাছে অস্ত্র আছে? পুলিশ কী অস্ত্র উদ্ধার করতে পারছে না? এমন নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।