রেল স্টেশনের সম্প্রসারণ ও মানোন্নয়নের জন্য কর্মরত শ্রমিকদের বঁটি নিয়ে আক্রমণের নিদান দিলেন তৃণমূল বিধায়ক। সোমবার সকালে হুগলির ব্যান্ডেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এই নির্দেশ দিতে দেখা যায় স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারকে। এমনিতে অসিতবাবু মুখ খুলেছেন আর বিতর্ক হয়নি এমন দুর্নাম তাঁর নামে তেমন একটা শোনা যায় না। কিন্তু সরাকরি কাজে বাধা দিতে শ্রমিকদের অস্ত্র নিয়ে আক্রমণের নির্দেশ দিচ্ছেন বিধায়ক এটা মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। ব্যান্ডেল স্টেশনকে অমৃত ভারত স্টেশনে উন্নীত করতে শুরু হয়েছে কর্মযজ্ঞ। সেজন্য স্টেশনের আসেপাশে রেলের বিস্তীর্ণ জমিকে দলখলমুক্ত করে শুরু হতে চলেছে নতুন নির্মাণকাজ। সেখানে রয়েছে রেলের বেশ কয়েকটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টার। যার কয়েকটিতে থাকতেন রেলকর্মীরা। বাকিগুলি দখল করে রেখেছিল কিছু মানুষ। রেলের নোটিশ পেয়ে যে রেলকর্মীরা কোয়ার্টারগুলিতে ছিলেন তাঁরা কোয়ার্টার খালি করে দিয়েছেন। কিন্তু জবরদখলকারীরা কোয়ার্টার ছাড়তে নারাজ। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে পরিত্যক্ত কোয়ার্টার ভাঙার কাজ। সোমবার সকালে সেখানে পৌঁছে যান অসিতবাবু। গিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে ৪০ - ৫০ বছর ধরে এরা রয়েছে। এদের পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করা যাবে না।’ এর পরই পরিত্যক্ত কোয়ার্টার ভাঙার কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের দেখিয়ে জবরদখলকারীদের উদ্দেশে বিধায়ক বলেন, ‘ঘরে বঁটি, কাটারি আছে? তাহলে মারছেন না কেন? মারুন ওদের।’অসিতবাবুর এই নির্দেশে প্রশ্ন উঠছে, একজন আইন প্রণেতা কি সাধারণ মানুষকে আইন হাতে তুলে নিতে প্ররোচনা দিতে পারেন? অবশ্য অসিতবাবু কোনও দিনই এসবে কর্ণপাত করেননি। এর আগেও বহু বার তাঁর মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু দল তাঁর বিরুদ্ধে কখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি। ফলে জিভে লাগাম টানতে উদ্যোগী হননি তিনিও।