স্কুলে পরীক্ষায় গার্ড দেওয়ার সময় ফোনে চাকরি বাতিলের কথা জানতে পারলেন অঙ্কের শিক্ষক। সুপ্রিম কোর্টের রায় জানার পরেই কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। তারপরে স্কুল ছাড়লেন বছর ৩৫-এর মনোজ তাঁতী। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির জামতলা ভগবানচন্দ্র হাই স্কুলের শিক্ষক। তাঁর মতোই এদিন চাকরি চলে যাওয়ায় হতাশ হয়ে স্কুল ছাড়লেন ১০ শিক্ষক-শিক্ষিকা। একসঙ্গে এতজনের চাকরি যাওয়ায় স্কুল চলবে কীভাবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রধান শিক্ষক।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম রায়ে মুর্শিদাবাদের স্কুল থেকে চাকরি গেল ৩৪ শিক্ষকের, উদ্বেগে কর্তৃপক্ষ
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, এই স্কুলে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর যাদের চাকরি গিয়েছে তাঁদের অধিকাংশই হলেন অঙ্ক এবং বিজ্ঞানের শিক্ষক। ফলে এই সমস্ত শিক্ষকদের অনুপস্থিতে ওই বিষয়গুলি কীভাবে পড়ানো হবে? তা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন প্রধান শিক্ষক। জানা গিয়েছে, ওই স্কুলে দশম শ্রেণির পরীক্ষা চলছেএ। সব মিলিয়ে স্কুলে প্রায় তিন হাজার ছাত্রছাত্রী রয়েছে। এদিন সুপ্রিমকোর্টের রায় জানার পরেই ১১ জন শিক্ষক কাঁদতে কাঁদতে স্কুল থেকে বেরিয়ে যান। তাঁদের অনুপস্থিতে পড়ুয়াদের পড়াশোনায় ব্যাপক সমস্যা হবে বলে মনে করছেন প্রধান শিক্ষক। এর পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের অর্জুনপুর হাই স্কুলে একসঙ্গে ৩৬ জনের চাকরি গিয়েছে। ৬০ জনের মধ্যে আর মাত্র ২৪ জন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন এই স্কুলে। একই অবস্থা মেদনীপুর টাউন স্কুলের। ডিউটিতে এসে সুপ্রিম কোর্টের চাকরি বাতিলের রায়ের খবর জানতে পারেন এই স্কুলের দুই শিক্ষক। যার মধ্যে একজন বাংলা শিক্ষক এবং অন্যজন অর্থনীতির। এ বিষয়ে অর্থনীতির শিক্ষক জানান, আগে তিনি দুটো কলেজে পার্শ্বশিক্ষকতা করতেন। বাড়িতে বাবা, মা, স্ত্রী, মেয়ে রয়েছেন। এখন কীভাবে সংসার চলবে তাই নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন তিনি।