দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর রাজ্য শ্রম দফতরের তৎপরতায় খুলতে চলেছে আলিপুরদুয়ারের আরও একটি চা বাগান। মাদারিহাটের ঢোকলাপাড়া চা বাগানটি গত ১৯ মাস ধরে বন্ধ। মালিক এবং শ্রমিকপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর অবশেষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে চা বাগানটি খুলতে চলেছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে স্বাভাবিকভাবেই তীব্র সমস্যায় পড়েছিলেন শ্রমিকরা। তবে চা বাগানটি ফের খোলায় উচ্ছ্বসিত শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: চা শিল্পের ব্যাপক সুবিধা হবে! ডুয়ার্সে বড় পদক্ষেপ করা হল, ২০-র পরে টার্গেট ১০
জানা গিয়েছে, চা বাগান খোলার জন্য এর আগে শ্রম দফতর বেশ কয়েকবার বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসে। তবে শেষমেষ মঙ্গলবারের বৈঠকে সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসে। এদিন শ্রম দফতরের বীরপাড়া অফিসে বৈঠক হয়। তারপরে চা বাগানটি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বৃহস্পতিবার থেকে চা বাগান খোলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রম দফতরের বীরপাড়া সার্কেলের সহকারী শ্রম কমিশনার অমিত দাস। তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার খুলছে ঢেকলাপাড়া চা বাগান। মাদারিহাটের মাকরাপাড়া চা বাগান কর্তৃপক্ষ ঢেকলাপাড়া বাগানটির দায়িত্ব নিচ্ছে। জানা যাচ্ছে, এই বাগানে ৬০৪ জন শ্রমিক ছিলেন। তবে আপাতত ২৫০ জন চা শ্রমিককে খোলা হচ্ছে এই চা বাগানটি।
শ্রম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চা বাগানটি খোলার তিন মাস পর একটি রিভিউ বৈঠক করা হবে। কাজ কেমন চলছে সেই বৈঠকে আলোচনা করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবরে বন্ধ হয়েছিল ঢেকলাপাড়া চা বাগানটি। এরপরই সংসার চালাতে বহু শ্রমিক ভিনরাজ্যে চলে যান। এছাড়াও, ২৮৮ জন শ্রমিক রাজ্য সরকারের প্রকল্পের অধীনে মাসে ১৫০০ টাকা করে ভাতা পেতেন ২৮৮ জন শ্রমিক। বর্তমানে বাগানে ২৫০ জন শ্রমিক আছে। তাঁদের নিয়েই চা বাগান খোলা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, বৈঠকে ঠিক হয়েছে চা বাগান ছেড়ে চলে যাওয়া শ্রমিকরা যদি আবার বাগানে ফিরতে চান তাহলে তাঁদের কাজে নেওয়া হবে।
মঙ্গলবারের বৈঠকে তৃণমূল ও বিজেপির চা শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের পাশাপাশি শ্রমিকরাও উপস্থিত ছিলেন। চা বাগান খোলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান নকুল সোনার।