মহম্মদ ইউনুস। তিনি নোবেলজয়ী। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। এদিকে সেই ইউনুসের শ্যালক থাকেন বর্ধমানের লস্করদিঘি এলাকায়। আশফাক হোসেন। অতীতে তিনি একাধিকবার ইউনুসের প্রশংসা করেছিলেন। কার্যত গোটা পরিবার গর্বিত ছিল ইউনুসকে নিয়ে। কিন্তু কোথাও যেন তাল কেটে গিয়েছে। সব কিছু ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। তবে আশা ছাড়তে রাজি নন আশফাক হোসেন।
এই সময় অনলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে আশফাক জানিয়েছেন, কী আর বলব। দুলাভাই আসার পরে ভেবেছিলাম আরও ভালো হবে। শান্তি বজায় থাকবে। সবই তো দেখছেন। আমার আর ভালো লাগছে না। দুলাভাই তাঁর মতো থাক। আমি আমার মতো থাকি। আমার রাজ্য, আমার দেশ যেন ভালো থাকে। এখানে সবাই তো আমরা খুব সুন্দরভাবে মিলেমিশে থাকি। বাংলাদেশের খবরও রাখতে ইচ্ছে করে না। কার্যত গত কয়েকমাসে চিত্রটা একেবারেই বদলে গিয়েছে। ভারতের খুব কাছের বন্ধু যে এমন বদলে যাবে সেটা কিছুতেই বুঝতে পারেননি অনেকেই।
এই তো কয়েকমাস আগের ঘটনা। সেবার মহম্মদ ইউনুসকে নিয়ে একেবারে আবেগ, খুশি উথলে পড়ছিল বর্ধমানের ওই পরিবারের। বাস্তবিকই পরিস্থিতি যে এমন বদলে যাবে, এভাবে সংখ্যালঘুরা ভয়ে ভয়ে থাকবেন সেটা ভাবতেই পারেননি কেউ।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সেই সময় আশফাক বলেছিলেন, লিখে রাখুন আমার জামাইবাবু বাংলাদেশে শান্তি ফেরাবেনই। হাসিনার সময়ের থেকেও বেশি সুসম্পর্ক হবে। আমার দুলাভাই কী মাপের মানুষ আপনারা জানেন না। একে কো মানুষের সঙ্গে সহজে সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন। দ্বিতীয়ত ভারতের সঙ্গে ওঁর বরাবরের ভালো সম্পর্ক।
তবে অতীত আর বর্তমান পুরো গুলিয়ে গিয়েছে। আশফাক জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ফেলে আসা দিনগুলোর কথা মনে পড়লে কষ্ট হয়। কেমন দম বন্ধ হয়ে আসে। কথাও বলতে ইচ্ছে করছে না আর।
আসলে গত কয়েক মাসে গোটা ছবিটাই বদলে গিয়েছে অনেকটাই। অনেকটাই বদলে গিয়েছে বাংলাদেশ পরিস্থিতি
তবে পুরোপুরি আশা ছাড়তে রাজি নন আশফাক। তিনি বলেছেন, দুলাভাইয়ের মতো অমায়িক মানুষ সচরাচর দেখা যায় না। মাটির মানুষ। অমন শান্ত, নম্র, বিনয়ী, মিষ্টিভাষী মানুষ আমি আর দেখিনি। ওঁর জ্ঞান, কর্মজীবনের কথা সকলেই জানেন। পড়শি দেশের প্রধান পদে বসেছেন। ওঁর মতো মানুষকে শান্তি ফেরাতে এমন সব কাজ করতে হচ্ছে। দায়িত্ব ওঁর অনেক।