আদিবাসী মানুষের জাতিগত শংসাপত্র, আদিবাসী পড়ুয়াদের জন্য শিক্ষাশ্রীর মতো বৃত্তিদান শিবির খোলা হবে। আদিবাসী মহিলা দ্বারা পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাইক্রো ক্রেডিটের সুযোগ থাকবে। এমনকী প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর, কৃষি দফতর থেকে আদিবাসী মানুষরা মেলায় এসে সরকারি পরিষেবার আবেদন জানিয়ে তা নিয়ে নিতে পারবেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানুয়ারি মাসেই রাজ্যজুড়ে ‘জয় জোহার মেলা’ শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। তার জন্য আদিবাসী কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে রাজ্যের ১৫টি জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত ১০২টি ব্লককে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে ২৮ তারিখ থেকে ৩০ জানুয়ারি এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এই কাজ করতে প্রত্যেক ব্লকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। শুধু আদিবাসীদের জন্যই রাজ্যজুড়ে এই বিশেষ মেলার আয়োজন করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
কী হবে এই বিশেষ মেলায়? নবান্ন সূত্রে খবর, জানুয়ারি মাসের শেষে রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলিতে ‘জয় জোহার মেলা’র আয়োজন করা হবে। সেখানে আদিবাসী সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত বিষয়গুলিকে তুলে ধরা হবে। আবার সরকারি উদ্যোগে শুরু করা আদিবাসীদের জন্য একাধিক প্রকল্পের কথা সামনে আনা হবে। এসবের সঙ্গে থাকবে রক্তদান ও স্বাস্থ্য শিবির। গোটা বিষয়টাই হবে সরকারি আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানে। আদিবাসীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রতিযোগিতা এবং খেলাধুলার আয়োজন করা হবে। এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংসদ, বিধায়ক এবং আদিবাসী নেতাদের উপস্থিত থাকতে হবে।