একদিকে গোটা রাজ্য জুড়ে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বড় অভিযোগ। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে জেলে রয়েছেন। এদিকে ভুল করে অনুমোদন করা হয়েছে এমন শিক্ষকদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। এনিয়ে জেলায় জেলায় শোরগোল। তার মধ্যেই রাজ্যের প্রান্তিক জেলা কোচবিহারে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে নয়া উদ্বেগ। এই জেলাতেই তৃণমূল বিধায়ক পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি গিয়েছে। ঘুরপথে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে আদালতের নির্দেশে চাকরি যায় তাঁর।সূত্রের খবর, কোচবিহার জেলায় এবার একাধিক শিক্ষক শিক্ষিকা সম্পর্কে শিক্ষা দফতর থেকে তথ্য় চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এনিয়ে জেলা স্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে খবর। আর তার জেরে সেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, শিক্ষিকা সম্পর্কে খোঁজখবর করা শুরু হয়েছে। এমনকী কোচবিহার শহরেরও একাধিক শিক্ষক শিক্ষিকা সম্পর্কেও খোঁজ খবর করা শুরু হয়েছে। আর তার জেরাই কার্যত রাতের ঘুম উড়েছে একাধিক শিক্ষক শিক্ষিকার। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সেই শিক্ষক শিক্ষিকাদের সম্পর্কেও তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে বলে খবর।এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, শুধু একাদশ-দ্বাদশ নয়। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক শিক্ষিকাদের সম্পর্কেও খোঁজ খবর করা হয়েছে। এনিয়ে স্কুলে স্কুলে একেবারে জোর আলোড়ন শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, কতদিন ধরে তাঁরা চাকরি করছেন, তাঁরা কোন বিষয়ে পড়াচ্ছেন এমনই নানা তথ্য জানার চেষ্টা করছে শিক্ষাদফতর।তবে শুধু কোচবিহার নয়, কার্যত গোটা বাংলা জুড়েই শুরু হয়েছে নয়া উদ্বেগ। কারা ঘুরপথে, অবৈধভাবে, টাকা দিয়ে চাকরি নিয়েছিলেন তাদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, কারা ঘুরপথে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন তাদের চিহ্নিত করা হোক এটা চাইছেন সকলেই। জেলায় জেলায় এনিয়ে চর্চা তুঙ্গে। এমনকী বিভিন্ন স্কুলেও এনিয়ে চর্চা চলছে। চেনাপরিচিতদের মধ্যে কেউ অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছিলেন কি না সেটাও জানার চেষ্টা করছেন আমজনতা। চায়ের দোকান থেকে বাড়ির অন্দরমহল, ট্রেনে বাসে এখন এটাই চর্চার বিষয়।