শিলিগুড়িতে পানীয় জলের সংকট নতুন কিছু নয়। কিন্তু সেটা যে এই পর্যায়ে চলে যাবে সেটা হয়তো বুঝতে পারেননি শহরবাসী। শিলিগুড়ি শহরে পানীয় জলের সংকট একেবারে মাত্রাছাড়া। একাধিক জায়গায় পানীয় জলের গাড়ি পাঠানো হয়েছে। পাউচ প্যাকেটেও পানীয় জল বিলি করা হচ্ছে। কিন্তু তাতেও মিটছে না জলসংকট। অগত্যা কেনা জলের উপর ভরসা করতে হচ্ছে অনেকেই। কিন্তু সেই কেনা জল কতটা স্বাস্থ্য সম্মত সেটা নিয়েও এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
একাধিক সংবাদমাধ্য়মের রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, পানীয় জলের হাহাকারের সুযোগ নিয়েছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। নাম না জানা নানা কোম্পানির জল বিক্রি হচ্ছে। এমনকী ড্রামে করে যে জল বিক্রি করা হচ্ছে তা আদৌ পরিশ্রুত কি না সেই প্রশ্ন উঠছে।
মুদিখানার দোকান থেকে ওষুধের দোকান বহু জায়গায় বিক্রি হচ্ছে পানীয় জল। সমস্যা যদি আগামী দিনে আরও প্রকট হয় সেই আশঙ্কায় এবার বেশি করে জল কিনে মজুত করতে শুরু করেছেন শহরবাসীর একাংশ। এমনকী কিছুক্ষেত্রে পানীয় জলের কালোবাজারিও শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। পানীয় জল কেনার জন্য রীতিমতো লাইন পড়ে যাচ্ছে।
কেন এমন সমস্যা হল?
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগ ও সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মানুষ ও গবাদিপশুর মল মহানন্দার জলে ব্যপকভাবে মিশেছে। এর জেরে সমস্যা আরও পাকিয়ে উঠেছে। নদীর জলে ই-কোলাই ব্যাকটিরিয়ার পরিমাণ বেড়়ে গিয়েছে। যা শিলিগুড়ির ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যাকটিরিয়া বৃদ্ধির জেরেই বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড বা বিওডি বৃদ্ধি পেয়েছে। আর পরিসংখ্য়ান বলছে বিওডি ২.৯ মানেই হল জলে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটিরিয়া রয়েছে। আর সেই ব্যাকটিরিয়া যদি শরীরে প্রবেশ করে তবে তা থেকে বিপদ হতেই পারে। সেকারণে সাবধান।