একুশে জুলাইয়ের দিন পুরুলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় সিধো-কানহো-বীরশা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলিতে দ্বিতীয় সেমিস্টারের স্নাতক স্তরের পরীক্ষা ২৩ জুলাইয়ের বদলে শেষ হবে ২৫ জুলাই। কারণ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরিবহন সমস্যার আশঙ্কার কথা জানালেও, বিরোধীরা এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে তৃণমূলের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখছে।
আরও পড়ুন: ‘তাঁরা যখন নবান্ন অভিযান করেন পুলিশের অনুমতি ছাড়া..’, ২১ জুলাইয়ের আগে সুর চড়ালেন দিদি
পুরুলিয়ার বিজেপি সহ-সভাপতি গৌতম রায়ের অভিযোগ, এই সিদ্ধান্ত মোটেই শিক্ষার্থীদের স্বার্থে নয়। ২১ জুলাই কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের বার্ষিক শহিদ দিবসের সমাবেশে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিত করাতে ইচ্ছাকৃতভাবে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্দশা নিয়ে বলেছিলেন, আর আজ তারই প্রমাণ মিলছে পুরুলিয়ায়। শুধু বিজেপি নয়, এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে শিক্ষকমহলও। পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পুরুলিয়া ইউনিটের সভাপতি আশিস গাঙ্গুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ ও ‘শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনীতির অনুপ্রবেশ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সমস্ত রাজনৈতিক অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সুবল চন্দ্র দে স্পষ্ট করেছেন, সোমবার (২১ জুলাই) পরিবহণে সমস্যা হতে পারে, অনেক শিক্ষার্থী দূরদূরান্ত থেকে আসেন। তাদের সুবিধার্থেই এই পরিবর্তন করা হয়েছে। স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষা নির্ধারিত সূচিতেই হবে, কারণ সেই পরীক্ষার্থীরা মূলত হোস্টেল বা কাছাকাছি আবাসনেই থাকেন। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।