শালবনির যুগডিহাতে পারাং নদীর উপর সেতুর শিলান্যাস করলেন মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ জুন মালিয়া। এই সেতু নির্মাণের জেরে বেশ কয়েকটি সুবিধা হবে মেদিনীপুরের মানুষজনের। এক, দূরত্ব কমে আসবে অন্তত ১৫ কিলোমিটার। দুই, বর্ষায় নিশ্চিন্তে স্কুলে যেতে পারবে পড়ুয়ারা। তিন, জল জমে যে বানভাসী পরিস্থিতি তৈরি হয় তা থেকে নিষ্কৃতি পাবেন গ্রামবাসীরা। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচার করতে এসে এই সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জুন মালিয়া। এবার সেই কথা রাখতে পেরে খুশি মেদিনীপুরের সাংসদ। তবে এই কাজের জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এলাকাবাসীদের ধন্যবাদ জানান।
সামনে বর্ষা আসছে। আবার আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কদিনের মধ্যে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হবে। তাই আশঙ্কায় আছেন গ্রামবাসীরা। এই আবহে গতকাল যুগডিহা গ্রামের ‘আলপথ’ পেরিয়ে কজওয়ে সেতুর শিলান্যাস করেন জুন মালিয়া। আর তাতেই আনন্দিত হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা। এই শিলান্যাস করে জুন মালিয়া বলেন, ‘সবার আগে আমি ধন্যবাদ দেব আমার প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই এই কাজ করতে আমাকে সাহায্য করেছিলেন। ধন্যবাদ দেব এখানের গ্রামবাসীদেরও। কারণ আপনারা আমাকে জিতিয়ে প্রথমে বিধায়ক এবং পরে সাংসদ করেছেন। তাই যে কথা আপনাদের দিয়েছিলাম সেই কথা রাখতে পেরে আমিও খুশি।’
আরও পড়ুন: মদন মিত্র–সহ কয়েকজন অফিসারের বিরুদ্ধে রুল জারি, কড়া পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের
এই কজওয়ে সেতু নির্মাণের জন্য নিজের সাংসদ তহবিল থেকে ৭৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন সাংসদ জুন মালিয়া। এখন পারাং নদীর উপর সেই সেতু নির্মাণের প্রাথমিক কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে তা শেষও হয়ে যাবে। তখন থেকে সাধারণ মানুষের আর কোনও সমস্যা থাকবে না যাতায়াতের ক্ষেত্রে। আর এই সেতুর শিলান্যাস অনুষ্ঠানে শালবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিং, বিডিও রোমান মণ্ডল–সহ কয়েকজনকে সতর্ক করে সাংসদের বক্তব্য, ‘এটা দেখবেন, সেতুর কাজটা যেন ঠিক করে হয়। সহজে যেন এই সেতু নষ্ট না হয়।’
পারাং নদীর উপর এই কজওয়ে সেতু শালবনী ব্লকের দুটি অঞ্চল—৯ নম্বর কাশীজোড়া এবং ৮ নম্বর গড়মাল বেষ্টিত। প্রায় ১০টি গ্রামের স্কুল পড়ুয়া এবং কয়েক হাজার সাধারণ মানুষের বসবাস এখানে। বর্ষায় বানভাসী পরিস্থিতি তৈরি হলে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় পড়ুয়াদের। এবার থেকে তা হবে না। এমনকী এই এলাকার ব্যবসায়ী ও কৃষকরা উপকৃত হবেন। তাই তো সেতুর শিলান্যাস করে সাংসদ জুন মালিয়ার কথায়, ‘স্বাধীনতার পর থেকে এই সেতুর জন্য দাবি করে আসছিলেন গ্রামবাসীরা। অবশেষে তা হতে চলেছে। তাই এখন এখানে খুশির হাওয়া। আমি বলেছিলাম, এখানে দুপুরে সামান্য একটু খাওয়ার আয়োজন করার জন্য। সেটাতেই ভুরিভোজ হয়েছে।’