দুটি পলি পার্ক তৈরি করার কথা ছিল। এই পলি পার্ক নামকরণ হয়েছে প্লাস্টিক থেকে। এই পলি পার্ক গড়ে ওঠার কথা ছিল, সাঁকরাইলের পরে উলুবেড়িয়া এবং দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে। দু’টি প্লাস্টিক বা পলি পার্ক গড়ে তোলার কথা ছিল। এই কথা দেড় বছর আগেই ঘোষণা করেছিলেন ইন্ডিয়ান প্লাস্টিক ফেডারেশনের কর্তারা। কিন্তু ঘোষণার সঙ্গে বাস্তবের মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সুতরাং ঘোষণাই সার হয়েছে। এই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কেন ঘোষণার পরও কাজ এগোলো না? সমস্যা ঠিক কোথায় রয়েছে? এইসব প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
রাজ্যে এখন শিল্প আসছে। মউ–চুক্তি সাক্ষরিত হচ্ছে। তখন এমন বিপরীত ছবি উঠে আসায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এইসব প্রশ্নের শুক্রবার উত্তর দিয়েছেন ইন্ডিয়ান প্লাস্টিক ফেডারেশনের এক কর্তা অলোক টিব্রেওয়াল। অলোকবাবু এদিন জানান, উলুবেড়িয়ার পলি পার্কের কাজ আইনি জটিলতা আটকে আছে। আর তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে। সুতরাং কবে আবার কাজ শুরু হবে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। আর দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে পলি পার্কের কাজ শুরুই করা যায়নি। যদিও দুর্গাপুরে কেমন সমস্যা রয়েছে সেটা স্পষ্ট করেননি অলোক টিব্রেওয়াল। তবে তাঁর বক্তব্য, ‘লগ্নিকারীরা জমি কিনেছেন। এখন সাঁকরাইলে ১০০ একর জমিতে রাজ্যের একমাত্র পলি পার্কটি অবস্থিত।’
আরও পড়ুন: বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার মা–মেয়ের দেহ, বেহালার পর এবার মধ্যমগ্রামে জোড়া রহস্যমৃত্যু
এভাবে চললে তো কাজ এগোবে না। একদিকে পলি পার্কও হচ্ছে না। অপরদিকে জমি পড়েই আছে। দিনের পর দিন এভাবে চললে লোকসান হবে। অলোক টিব্রেওয়ালের দাবি, রাজ্যে অন্যান্য যে বেসরকারি শিল্পতালুকগুলি রয়েছে সেগুলিতে বেশিরভাগ সংস্থাই প্লাস্টিক ক্ষেত্রের কাজ করে থাকে। তার জেরে ওই ক্ষেত্র পিছিয়ে নেই। এই ঘটনা নিয়ে আক্ষেপ করেন অলোক টিব্রেওয়াল। তিনি বলেন, ‘এটি একটি নেতিবাচক ঘটনা।’