সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে ভোটগণনায় জয়ের পথ সুগম হতেই তৃণমূলকে তুলোধোনা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেন তিনি। সাংবাদিকদের অধীরবাবু বলেন, এ তো সবে শুরু, আসল খেলা এখনও বাকি আছে।এদিন লাল শার্টে দেখা যায় অধীরবাবুকে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘এই জয়ের মধ্যে দিয়ে সাগরদিঘির মানুষের অদম্য মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে। এই নির্বাচনে বাম – কংগ্রেস জোট তৃণমূলের একটা অংশের সমর্থন পেয়েছে। এমনকী কৌশলগত কারণে বহু বিজেপি সমর্থক কংগ্রসকে ভোট দিয়ে থাকতে পারে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মানুষের ভোটদানের অধিকার সুরক্ষিত করতে পেরেছে। যা এই নির্বাচনে আমাদের জয়ের অন্যতম কারণ। এই নির্বাচন প্রমাণ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাজেয় নন। তাঁকে পরাজিত করা যেতে পারে। তৃণমূলকে বধিবে যে মুর্শিদাবাদে বাড়িছে সে। মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস বাড়ছে। আগামীদিনে আমরা তৃণমূলকে উচ্ছেদ করব। কংগ্রেস বাম ও অন্যরা মিলে এই বাংলায় চোরতন্ত্র উচ্ছেদ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব’।জোটই রাজ্য রাজনীতির ভবিষ্যৎ বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘জোটই আগামী দিনের ফরমুলা। আমরা বরাবর জোট চেয়েছি। আমরা কখনও বামেদের সঙ্গে জোট ভাঙিনি। ২০১৬ সাল থেকে আমরা একই কথা বলে আসছি। সিপিএমের মাঝে মনে হয়েছিল জোটের দরকার নেই। তাই তারা জোট থেকে সরে গেছিল। নির্বাচনের আগে আমি বিমানবাবুকে সমর্থন চেয়ে অনুরোধ করেছিলাম। বিমানবাবু আমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সমর্থন করেছেন। তাঁকে আমি ধন্যবাদ জানাব। তার পর মহম্মদ সেলিম প্রচারে এসেছিল, বোন মীনাক্ষী সেও প্রচারে এসেছিল। এই জয়ে বামেদের সমর্থন ছাড়াও তৃণমূলের একাংশের সমর্থন রয়েছে। যারা মনে করে রাজনীতিতে সততা দরকার, চৌর্যবৃত্তি দুর্নীতিকে মানতে পারেনি তারা আমাদের সমর্থন করেছে। এছাড়া বিজেপির কিছু ভোটার মনে করেছে কৌশলগত কারণে তৃণমূলকে হারানোর জন্য কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া দরকার। মুর্শিদাবাদ জেলায় পুলিশের সাহায্যে প্রলোভন দেখিয়ে, ভয় দেখিয়ে কংগ্রেসকে দুরমুশ করা হয়েছিল’।এমনকী মুসলিমরাও আর তৃণমূলকে ভোট দেবেন না বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, ‘তৃণমূল মুসলমানদের সঙ্গে গদ্দারি করেছে। সারা বাংলার মুসলমানরা জানে। তৃণমূল বিজেপির দালালি করে। সারা ভারতের মুসলমান জানে। মুসলমানদের একবার ঠকানো যায়। জিন্দাগিভর ঠকানো যাবে না। পঞ্চায়েত নির্বাচন যদি নিরপেক্ষভাবে হয় মুর্শিদাবাদে কেন, বাংলায় তৃণমূলকে খুঁজে পাওয়া যাবে না’।শেষে বলেন, ‘এতো সবে শুরু। আসল খেলা এখনো বাকি আছে।’ সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে বেলা ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বাম – কংগ্রেস জোটপ্রার্থী বাইরন বিশ্বাস ৮,০০০ এর কিছু বেশি ভোটে তৃণমূল প্রার্থীর থেকে এগিয়ে।