বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন এখনও একবছর বাকি। আর তার আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় আবার সমবায় নির্বাচনে গোহারা হারল বিজেপি। আর তা নিয়ে এখন অকাল হোলির মেজাজ দেখা গেল। রামনগর সমবায় নির্বাচনে ৯টি আসনের মধ্যে ৯টিতেই হেরেছে বিজেপি। আর জয়লাভ করেছে তৃণমূল। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারী রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরির এলাকায় প্রায় ১০ হাজার ভোটে লিড পেয়েছিল। এই সমবায় সমিতিতে জয়লাভ করার পর তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অখিল গিরি আবার ঘর গোছাতে শুরু করে দিলেন।
পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর এলাকায় বিরোধী দলনেতার খাসতালুক বলা হয়। সেখানের এক নম্বর ব্লকের দুবলাবাড়ি টেংরামারি কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে জয়লাভ করল তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত সকল প্রার্থী। আর সব আসনেই পরাজিত হল বিজেপি। অখিল গিরির বিধানসভা এলাকা হলেও এখানে বিজেপি শুরু থেকে মাটি কামড়ে পড়েছিল। তারপরও রামনগর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত তালগাছড়ি–২ পঞ্চায়েতের এই সমবায় সমিতির নির্বাচনে দাঁত ফোটাতে পারল না বিজেপি। সংগঠন যে পূর্ব মেদিনীপুরে আগের মতো নেই সেটা এই নির্বাচন দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গেল। এই তালগাছড়ি–২ পঞ্চায়েত বিজেপিরই দখলে রয়েছে। তারপরও সমবায়ে হার হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইভটিজারদের থেকে বাঁচতে পথ দুর্ঘটনার কবলে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের যুবতী, মৃত্যু পানাগড়ে
কদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, এই পূর্ব মেদিনীপুরের মাটিতে সব আসনে হারবে বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচন এলেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। সেখানে এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগেই খোদ বিরোধী দলনেতার জেলায় সমবায় সমিতির নির্বাচনে খসে পড়ল পদ্মফুল। চারিদিকে ফুটে উঠল ঘাসফুল। এই জয়লাভের পর তৃণমূল কংগ্রেস অত্যন্ত খুশি। রামনগর এলাকায় সবুজ আবিরে ঢেকে গিয়েছে। একেবারে বিজেপি পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে থাকা সমবায় সমিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল জয়ে অস্বস্তি শুরু হয়েছে পদ্মনেতাদের। ৯টি আসনের মধ্যে ৯টিতেই তৃণমূল কংগ্রেস জয় লাভ করার ফলে তাঁরা আনন্দ করতে থাকে।
এই পূর্ব মেদিনীপুরের মধ্যে বহু সমবায় নির্বাচনই বিজেপি হেরেছে। এমনকী জেতা পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছে। এখানেই লোকসভা নির্বাচনে দুটি আসন জিতেছে বিজেপি। তমলুক আর কাঁথি। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, শূন্য করে দেবেন। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। এখন একের পর এক সমবায় নির্বাচনে পরাজয় তৃণমূল কংগ্রেসকে বাড়তি অক্সিজেন দিচ্ছে। যা ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাৎপর্যপূর্ণ।