ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু রুখতে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হচ্ছে ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম বা আইডিএস। ট্রেন যাতায়াত করার সময় যাতে হাতির পাল রেল লাইনে ঢুকে না পড়ে এবং দুর্ঘটনা না ঘটে সেটা নিশ্চিত করতেই এই বিশেষ ডিভাইস বসানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার জংশনে এর উদ্বোধন করেন রেলের আধিকারিকরা। ডিভাইসের কার্যক্ষমতা খতিয়ে দেখতে দুটি কুনকি বা পোষ্য হাতিকেও নিয়ে আসা হয়েছিল। আর সেই উদ্বোধনের দিনেই ঘটল দুর্ঘটনা। হাতির আক্রমণে মৃত্যু হল রেলের অধীনে কর্মরত এক বেসরকারি কোম্পানির কর্মীর।
আরও পড়ুন: আলু ক্ষেতে ঢুকে পড়ল বুনো হাতি, মারাত্মক জখম হলেন দুই কৃষক, ঘটনাস্থলে বন দফতর
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কর্মীর নাম সন্দীপ চৌধুরী (৫৫)। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট কর্নেল। উত্তরপ্রদেশের নয়ডার বাসিন্দা তিনি। জানা যায়, ট্রেনের হর্ন শুনে উত্তেজিত হয়ে পড়ে একটি হাতি। সেই সময় ভয় পেয়ে হাতিটি সন্দীপকে আঘাত করে। এর ফলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। সূত্রের খবর, এদিন আইডিএস উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ার জংশনে। পরে এর উদ্বোধন করেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার চেতন কুমার শ্রীবাস্তব। যন্ত্রের কার্যক্ষমতা খতিয়ে দেখতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার, আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার অমরজিৎ গৌতম সহ অন্যান্য আধিকারিকরা রাজাভাতখাওয়ার মধুতলা এলাকায় যান।
হাতি দুটিকে নিয়ে আসা হয়েছিল চেকোবিট থেকে। যার মধ্যে একটির নাম জোনাকি এবং অন্যটির নাম হল মমতাজ। হাতি সহ রেললাইনের ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন রেলের কর্মী এবং আধিকারিকরা। সেইসময় ওই এলাকা দিয়েই ভিস্টাডোম ট্রেন আলিপুরদুয়ার জংশনের দিকে যাচ্ছিল। তখন ট্রেনটি হর্ন দিতেই জোনাকি ভয় পেয়ে যায়। এরফলে হাতিটি উত্তেজিত হয়ে ওই কর্মীর মাথায় আঘাত করে। তাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সন্দীপের। এমন ঘটনায় হতবাক হয়ে যান রেলের আধিকারিকরা। ওই কর্মীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।