এবার ফোন থেকেই জানা যাবে শ্রাবণী মেলার সমস্ত তথ্য। এই প্রথমবার তারকেশ্বরের শ্রাবণী মেলায় আসা পুণ্যার্থীদের জন্য চালু হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট। মেলায় ভিড় সামলানো ও দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে এই ডিজিটাল উদ্যোগ। মন্দিরে জল ঢালার সময়সূচি থেকে শুরু করে, পানীয় জল, শৌচালয়ের অবস্থান, চিকিৎসার ব্যবস্থা, ট্রেন ও বাসের রুট ও টাইমিং সব তথ্য পাওয়া যাবে এই নতুন ওয়েবসাইটে। (আরও পড়ুন: নিম্নচাপের জেরে রাজ্যে জারি থাকবে বৃষ্টি, কোথায় কোথায় হবে ভারী বর্ষণ?)
আরও পড়ুন: দু’বছর পর তারকেশ্বরে শুরু হল ‘শ্রাবণী মেলা’, কোভিড বিধি মেনে চলার নির্দেশ
আগামীকাল ১০ জুলাই শুরু হচ্ছে শ্রাবণী মেলা। চলবে ১৮ অগস্ট পর্যন্ত। সেই উপলক্ষে মঙ্গলবার তারকেশ্বরে রাজ্য সরকারের তরফে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সাতজন মন্ত্রী- অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিত বসু, পুলক রায়, বেচারাম মান্না, স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও ইন্দ্রনীল সেন। এছাড়াও ছিলেন তারকেশ্বর, ধনেখালি, হরিপাল ও চাঁপদানির বিধায়ক, হুগলি জেলার জেলাশাসক মুক্তা আর্য, এসডিও এবং বিভিন্ন সরকারি দফতরের আধিকারিকরা। বৈঠকটি হয় পর্যটন দফতরের একটি সভাকক্ষে। বৈঠক শেষে মন্ত্রীরা যান তারকেশ্বর মঠে। সেখানে প্রধান মহন্ত সুরেশ্বর আশ্রম মহারাজের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে। তাঁর কথায়, মেলা শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল রাখতে সব দফতরের মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজন। সেটাই আলোচনা হয়েছে।
হুগলি গ্রামীণ জেলার পুলিশ সুপার জানান, ভিড় সামাল দিতে বিশেষ নিরাপত্তা রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন, তারকেশ্বর শহরের রাস্তাগুলি সরু। লক্ষ লক্ষ মানুষ এলে চলাফেরা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই পুলিশ ও প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয়দের সহযোগিতা দরকার। মন্ত্রী বেচারাম মান্না জানান, রাজ্যের ১৬টি ঘাট থেকে পুণ্যার্থীরা গঙ্গাজল সংগ্রহ করে যাত্রা শুরু করেন। সেই যাত্রাপথে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। গঙ্গার ধারে জাল বসানো হয়েছে, যাতে কেউ জলে পড়ে না যান। (আরও পড়ুন: বড় কোনও দায়িত্ব পাবেন দিলীপ? শমীকের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই ডাক পেলেন দিল্লিতে)
আরও পড়ুন: যাদবপুরে পুলিশের জুতোতে লাগল আগুন, বাংলার কোথায় কেমন প্রভাব ভারত বনধের?
এদিকে, এই মেলা ঘিরে নতুন ওয়েবসাইটটি এবার পুণ্যার্থীদের বড় ভরসা হতে চলেছে। কোথায় শৌচালয় রয়েছে, কোথায় ফ্রি খাবার মিলবে, কোন স্টলে পানীয় জল পাওয়া যাবে? সব বিস্তারিত তথ্য থাকবে এই ওয়েবসাইটে। এছাড়াও, তারকেশ্বর থেকে ধর্মতলা, বালি ব্রিজ ও হাওড়ার দিকে যাত্রী পরিবহণে অতিরিক্ত সরকারি বাস চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রেলকেও অনুরোধ করা হয়েছে, রাতভর ট্রেন চালু রাখার জন্য।সব মিলিয়ে এবার প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করেই পুণ্যার্থীদের জন্য আরও সহজ, সুরক্ষিত ও সুসংগঠিত হতে চলেছে শ্রাবণী মেলা।