মোটা টাকার বিনিময়ে জুটেছিল সরকারি চাকরি। সেই নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরিতে যোগাদান করতে গিয়ে গ্রেফতার হলেন বাপ – ব্যাটা। বুধবার এই ঘটনা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের। অধ্যক্ষের কাছে তাঁরই জাল সই করা নিয়োগপত্র নিয়ে হাজির হন শুভঙ্কর দত্ত ও তাঁর বাবা শম্ভু দত্ত। সঙ্গে সঙ্গে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেন অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা। ধৃতদের জেরা করে এই চক্রের ২ পান্ডাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।বুধবার সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে গ্রুপ ডির চাকরির নিয়োগপত্র নিয়ে হাজির হন শুভঙ্কর দত্ত নামে এক যুবক। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা শম্ভু দত্ত। অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা নিয়োগপত্রটি হাতে নিয়ে দেখেন, সেখানে তাঁর জাল সই করা হয়েছে। এর পর বাবা ও ছেলেকে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তিনি। জেরায় শম্ভুবাবু জানান, ৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ছেলের জন্য এই নিয়োগপত্র জোগাড় করেছেন তিনি। এর পর ২ জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন সুপার।শম্ভু ও শুভঙ্করকে গ্রেফতার করে জেরা করা শুরু করে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের পুলিশ। জেরায় ধৃতরা জানায়, টাকার বিনিময়ে তারা নিয়োগপত্র পেয়েছিল সেকথা ঠিক, কিন্তু নিয়োগপত্রে অধ্যক্ষের সই ভুয়ো তা তারা জানত না। ধৃতরা জানায় উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির বাসিন্দা সঞ্জয় সরকারের কাছ থেকে এই নিয়োগপত্র পেয়েছে তারা। সঙ্গে সঙ্গে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শিলিগুড়ি লাগোয়া বাগডোগরার বাসিন্দা বাবলু রায়ের নাম জানা যায়। তাকেও গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।জেরায় ধৃতরা স্বীকার করেছে, ২.৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে জাল নিয়োগপত্র দিয়েছে তারা। মোট ৬ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ছিল শম্ভুবাবুর। বাকি টাকা দেওয়ার কথা ছিল ছেলের চাকরিতে যোগদানের পরে। এই ঘটনায় আরও ১ অভিযুক্ত পলাতক বলে জানা গিয়েছে।