সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় বাংলা যোগ মিলেছে। তাই এবার তদন্তে এল মুম্বইয়ের পুলিশ টিম। আজ, সোমবার নদিয়ায় আসেন তদন্তকারীরা। তাঁরা দাবি করছেন, নদিয়ার বাসিন্দা খুকুমণি জাহাঙ্গীর শেখের নামে এক তরুণীর আধার কার্ড দিয়ে তোলা সিম কার্ড ব্যবহার করত গ্রেফতার হওয়া শরিফুল। শরিফুলের সঙ্গে খুকুমণির সম্পর্ক আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল এই খুকুমণি বলে তদন্তকারীদের হাতে প্রমাণ রয়েছে।
এদিকে শরিফুল কাজের খোঁজে মুম্বইয়ে গিয়ে সইফের বাড়িতে ডাকাতি করতে ঢোকে। সেখানে বাধা পেলে অভিনেতাকেই ছুরি দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। এবার শরিফুলের মোবাইল সিমের সূত্র ধরেই খুকুমণির খোঁজ পেল মুম্বই পুলিশ। আর তারপরই তদন্তে রবিবার কলকাতায় আসেন মুম্বই পুলিশের দুই সদস্যের প্রতিনিধি। আজ, সোমবার খুকুমণির ধরতে আরও চার পুলিশ অফিসার এসেছেন। খুকুমণিকে তাঁরা ট্রানজিট রিমান্ডে মুম্বই নিয়ে গিয়ে পুলিশ হেফাজতে থাকা শরিফুল সামনে রেখে জেরা করতে পারেন। তাই খুকুমণির যোগসূত্র বের করতে মরিয়া তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: ‘বাংলার বাড়ি’ তৈরিতে ইটের জোগান স্বাভাবিক রাখতে উদ্যোগ, কড়া নজর বিডিও’দের
অন্যদিকে নদিয়ায় খুকুমণির ঠিকানায় এসে পৌঁছয় মুম্বই পুলিশ। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁরা সাফল্য পেলেন না। কারণ যে সিমের সূত্র ধরে এখানে আসা সেটি চার বছর আগে তোলা হয়েছিল। তখন যে আধার কার্ড জমা দেওয়া হয়েছিল তাতে খুকুমণির নাম এবং ঠিকানা সঠিক রয়েছে। তবে ছবি বা বয়সের কোনও মিল নেই। এই দাবি করেছেন তরুণীর বাবা। গত ১৫ জানুয়ারি রাতে নিজের বাসভবনে আততায়ীর ছুরির হামলায় জখম হন অভিনেতা সইফ আলি খান। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বান্দ্রা স্টেশনের কাছ থেকে গ্রেফতার করা হয় শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে। তাকে জেরা করে মুম্বই পুলিশের হাতে আসে নানা তথ্য। শরিফুল আসলে বাংলাদেশি।