আজ, শনিবার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশ হচ্ছে। আর এই আবহেই টানা ৬ দিন পর অবশেষে আজ থেকে মুর্শিদাবাদ জেলায় চালু হল ইন্টারনেট পরিষেবা। এখানে একটা খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তাই এই পরিষেবা বন্ধ রাখতে হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে, শান্তিপূর্ণ বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। তাই ইন্টারনেট পরিষেবাও জনগণের উদ্দেশে খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ সকাল থেকেই হরিহরপাড়া–সহ গোটা মুর্শিদাবাদ জেলায় সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। তবে বেলডাঙায় এখনও পুলিশ টহলদারি অব্যাহত রয়েছে। যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
এখানে একটা অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলেই কড়া হাতে সেটা দমন করতে হয় রাজ্য সরকারকে। তাই গত রবিবার থেকে মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা ছিল। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইন্টারনেটের মাধ্যমেই সরকারি–বেসরকারি ক্ষেত্রে এখন কাজ চলে। সেটায় প্রভাব পনে। পড়ুয়া থেকে ব্যবসায়ী সকলকেই নাকাল হতে হয়েছে। ইন্টারনেট না থাকায় ব্যবসায়ীরা অনলাইন লেনদেন করতে পারেননি। কলেজে ভর্তি হতে সমস্যা হয় পড়ুয়াদের। তবে এখন স্বাভাবিক হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘স্যাকরার ঠুকঠাক কামারের এক ঘা’, সব কেন্দ্রেই তৃণমূল জিতছে ফেসবুকে খোঁচা দেবাংশুর
এই পরিস্থিতিতে মানুষজনকে এলাকা ছেড়ে গিয়ে অন্যত্র কাজ করতে হয়েছে। যেখানে ইন্টারনেট কাজ করছিল। এই ইন্টারনেট বন্ধ থাকার জেরে বিপদে পড়েন রোগীরাও। ইন্টারনেট নেই। এই কারণ দেখিয়ে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা রোগীদের দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অপারেশনের কাজও। ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্তও মিলছিল না বলে অভিযোগ। কঠি পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই কঠিন পরিস্থিতিতে মেজাজ শান্ত রেখে কাজ করতে হচ্ছিল মুর্শিদাবাদের মানুষজনকে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে গিয়ে বন্ধ রাখতে হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। অবশেষে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হওয়ায় স্বস্তিতে জেলার বাসিন্দারা।
এখানে ১৬ নভেম্বর দুটি গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। তাতে অশান্ত হয়ে ওঠে বেলডাঙা–সহ মুর্শিদাবাদ। এই তপ্ত বাতাবরণের পরিবেশ তৈরি হওয়ায় বন্ধ করে দিতে হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা–সহ গোটা জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রেখেছিল প্রশাসন। এই হিংসার ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। এখন সেখানে কাজ করা যাচ্ছে ইন্টারনেটে। পুলিশ সূত্রে খবর, এখন পরিবেশ শান্ত। জনজীবন স্বাভাবিক। আর তাই ইন্টারনেট পরিষেবাও স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। বেলডাঙার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।